দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ না ফেরার দেশে চলে গেলেন দেশের এক সময়ের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক খলিলুর রহমান বাবর (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
আজ (সোমবার) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাংগঠনিক সচিব কাবিরুল ইসলাম রানা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই বাবর অসুস্থ ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে বাদ আসর বাবরের প্রথম জানাযে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
তারপর সেখান থেকে মরদেহ তার কলাবাগানের বাসায় নেওয়া হবে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বাবরকে দাফন করা হবে।
আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘বাংলার মুখ’ সিনেমার মাধ্যমে নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ ঘটে বাবরের। তারপর ধীরে ধীরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন খলনায়ক হিসেবে। এক যুগ পূর্বে মনোয়োর হোসেন ডিপজলের ‘তের গুণ্ডা এক পাণ্ডা’ সিনেমায় সবশেষ অভিনয় করেন বাবর।
খলনায়ক হিসেবে বাবরের যাত্রা শুরু হয়েছিলো নায়করাজ রাজ্জাক প্রযোজিত ও জহিরুল হক পরিচালিত ‘রংবাজ’ চলচ্চিত্রের মধ্যদিয়ে। তারপর তিন শতাধিক বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
তিনি প্রযোজনাও করেন। বাবর ‘দাগী’ নামে একটি সিনেমা প্রযোজনা করেছিলেন। পরিচালনা করেন একমাত্র সিনেমা ‘দয়াবান’।
বাবর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আজীবন সদস্য ছিলেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী সুলতানা রহমান, মেয়ে ওমাইনা রহমান এবং ছেলে রিয়াদুর রহমানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।