দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাম্প্রতিক সময় কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে পুরো বিশ্বব্যাপি যেনো এক উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভারতের সঙ্গে নানা আলোচনার কথাও শোনা যাচ্ছে। তবে এবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন আলোচনায় বসছে কাশ্মীর নিয়ে।
কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান সমঝোতার চেষ্টা করছে বলে গণমাধ্যমে যেসব খবর প্রকাশিত হয়েছে সরাসরি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি। ডন অনলাইনের এক খবরে এইসব তথ্য দেওয়া হয়।
গত শনিবার সীমান্তবর্তী উমেরকোটে শিব মন্দিরে সমবেত হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই জনসমাবেশটি কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ নয়, তবে তা ফ্যাসিস্ট নরেন্দ্র মোদি সরকারকে পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে যে, পাকিস্তানের হিন্দু ও অমুসলিমরা কাশ্মীরের জনগণের পক্ষেই রয়েছেন।”
শাহ মেহমুদ কোরেশি আরও বলেন, আগামীকাল (সোমবার) ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাশ্মীর ইস্যুতে আলোচনায় বসবে। এই আলোচনা বন্ধের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছে ভারত।
শাহ মেহমুদ কোরেশি বলেন, এর ঠিক পরের দিনই কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতীয় হাই কমিশনার, মানবাধিকার কর্মী এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্টারিয়ানদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য লন্ডনের হাইড পার্কে সমবেত হবেন বিপুল সংখ্যক জনগণ। তিনি নিজে শীঘ্রই কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপনের জন্য জেনেভাও সফর করবেন।
অপরদিকে কাশ্মীর ইস্যুতে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এই সময় পুরো বিশ্বই দেখবে পাকিস্তানের অবস্থান।
শাহ মেহমুদ কোরেশি আরও বলেন, ভারত দখলীকৃত কাশ্মীরে যে মাত্রার দমনপীড়ন চালানো হোক না কেনো, কাশ্মীরিদের কণ্ঠকে কোনোভাবেই দমিয়ে রাখা যাবে না, যারা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কারফিউয়ের মধ্যে রয়েছেন।
উমেরকোটে সমবেত জনতাকে পাকিস্তানী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নির্দেশনা অনুযায়ীই তিনি সেখানে গিয়েছেন। মেহমুদ কোরেশি বলেন, এই সমাবেশ থেকে মোদি এবং জয় শঙ্করের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা ইতিমধ্যেই চলে গেছে। আর তা হলো, তারা কোনো মতেই কাশ্মীরি জনগণের পক্ষে দাঁড়াতে পারেন না। তবে পাকিস্তানী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিন্দুদেরও পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।
শাহ মেহমুদ কোরেশি আরও বলেন, ভারত সরকার কাশ্মীরি মুসলিমদেরকে নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রেও বাধা দিচ্ছে। তবে পাকিস্তানে সব অমুসলিমরা তাদের উপাসনালয়ে অবাধে উপাসনা করতে পারছেন। শাহ মেহমুদ কোরেশির ভাষায়, ভারত সরকার মসজিদগুলোকে ফাঁকা করে ফেলছে। তবে পাকিস্তানে মন্দিরগুলোর প্রতি সম্মান দেখানো হচ্ছে।