দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিয়ে সাদি করলে বেকার থাকা যায় না সেটি সবার জানা। তাই এক স্বামী বিয়ের পর দিন রাত চেষ্টা করছেন চাকরির জন্য। সেজন্য তাকে নানাভাবে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। অথচ নববধূ সেজন্য চরম ক্ষেপে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ডিভোর্স দিলেন!
বিয়ে সাদি করলে বেকার থাকা যায় না সেটি সবার জানা। তাই এক স্বামী বিয়ের পর দিন রাত চেষ্টা করছেন চাকরির জন্য। সেজন্য তাকে নানাভাবে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। অথচ নববধূ সেজন্য চরম ক্ষেপে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ডিভোর্স দিলেন!
ঘরে নববধূকে রেখে স্বামী দিন রাত চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নানা প্রকার বইপত্র ঘাটাঘাটি করছেন। অথচ চাকরি প্রত্যাশী স্বামীর এতোটুকু খেয়াল নেই নতুন বউয়ের দিকে। সারাদিন ব্যস্ত সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে। তাই স্বামীর ওপর বিরক্ত হয়ে ডিভোর্সই দিয়ে দিলেন নববিবাহিত এক তরুণী। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে।
ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দু জানিয়েছে, নববিবাহিত ওই তরুণী ডিভোর্সের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন যে, তার স্বামী পড়ালেখার প্রতি অতি ‘আসক্ত’। বিয়ের পর হতে তিনি তার স্বামীর কাছে অবহেলিত হয়ে আসছেন। তাই স্বামীর ওপর বিরক্ত হয়ে তিনি ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তিনি জানান।
মধ্যপ্রদেশের এক কাউন্সেলিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, চাকরি প্রত্যাশী ওই যুবক ইতিমধ্যেই পিএইচডিও করেছেন। বর্তমানে তিনি ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেজন্য তাকে প্রচুর পড়াশোনা করা লাগছে। ভারতে এই পরীক্ষায় তুমুল প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে বলেও জানান ওই কাউন্সেলিং কর্মকর্তা।
এদিকে ডিভোর্স পাওয়া ওই যুবক জানিয়েছেন, তিনি তার পরিবারের একমাত্র সন্তান। সম্প্রতি তার বাবা-মা অসুস্থ হওয়ায় তাকে হুট করেই বিয়ে করানো হয়েছে। তিনি চাকরির পরীক্ষার পড়াশোনা নিয়ে একটু ব্যস্ত থাকার কারণে তার স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে যায়। বেশ কয়েকমাস হয়ে গেলেও তার স্ত্রী আর ফিরে আসছে না। এমনকি ফিরতে বললেও সে ফেরেনি। যে কারণে এখন তিনি নিজেও ডিভোর্স পেতে আগ্রহী।
এদিকে এমন সাধারণ একটি কারণে ডিভোর্স দেওয়ার ঘটনাটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে। বিভিন্ন সোস্যাল সাইটে ওই নারীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন অনেকেই। তারা মনে করছেন ওই নারীর আরেকটু সহনশীল হওয়া উচিত ছিলো। তাকে আরও ধৈর্যশীল হওয়া উচিত ছিলো। কারণ হলো তার স্বামীর বেকারত্ব দূর হলে তারই লাভ। বেকার স্বামীর ঘর নিশ্চয়ই তিনি করতে চাইবেন না। তবে যতোই সমালোচনা হোক না কেনো ওই নারী তারপর তার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন। তবে শেষমেষ কি হয় সেটিই দেখার বিষয়।