দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হিটলারের জীবন নিয়ে অনেকের নানান আগ্রহ রয়েছে। ইতিহাসের কঠিনতম শাসকদের মাঝে হিটলার একজন। হিটলার যেমন ভাবে আমেরিকা কিংবা পশ্চিমাদের কাছে খারাপ নেতা আবার অনেকেই হিটলারকে আদর্শ নেতা এবং পুরুষ হিসেবে মানেন। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে হিটলার ইয়াবা আসক্ত ছিলেন।
ইয়াবা! বর্তমান সময়ের এক সর্বনাশা মাদক। বাংলাদেশ এবং দক্ষিন এশিয়াতে একে ইয়াবা নামে বলা হলেও এক এক অঞ্চলে এই মাদকের নাম এক এক রকম। ইয়াবার মূল উপাদান হচ্ছে ক্রিস্টাল মেথ। এই ক্রিস্টাল মেথ জার্মানিতে মাদক হিসেবে নেয়া হয় এবং বাংলাদেশ সহ অনেক দেশে একে ইয়াবা বলা হয়। এই মাদককে আবার আমেরিকাতে বলা হয় ‘ডেসোজিন’। নাম যাই হোক উপাদান কিন্তু একি।
হিটলার এর তখনকার চিকিৎসক ড. থিওডর মোরেল নিজের নথিতে জানিয়েছিলেন, হিটাল নিজে বিভিন্ন মাদকে আসক্ত ছিলেন। এসব মাদক হিটাল নিজেকে আরো শক্তিশালী এবং মানসিক ভাবে কঠোর করতে ব্যবহার করতেন। এছাড়াও হিটাল নিজের পৌরুষত্ব নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না ফলে তিনি নিজের পৌরুষত্ব বাড়াতে বাড়টি মাদক সেবন করতেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা ৪৭ পৃষ্ঠার একটি নথিতে বলা হয় হিটলার ৭৪ রকমের মাদক সেবন করতেন। এসব মাদক অনেক উচ্চ মাত্রার ছিলো। এসব মাদক এক এক ক্ষেত্রে এক এক কাজে হিটালের মানসিক শারীরিক শক্তি বাড়াতে কাজ করতো। বিশেষ করে হিটাল বিভিন্ন বৈঠকে যাওয়ার আগেই মানসিক দৃঢ়তা বাড়ানোর নানান মাদক নিতেন।
নথিতে দেখা যায় ১৯৪৩ সালে ইতালির তৎকালীন সেনানায়ক মুসোলিনীর সাথে এক বিশেষ বৈঠকে বসেন, ওই বৈঠকে যাওয়ার আগেও হিটলার ক্রিস্টাল মেথ সহ দুই রকমের মাদক গ্রহন করেন। ওই বৈঠকে হিটলার এক টানা ২ ঘন্টা ভাষণ প্রদান করেন। তাকে এসময় সামান্য তম ক্লান্ত মনে হয়নি।
উল্লেখ্য, ইয়াবা মানুষের তাৎক্ষণিক অবসাদগ্রস্ততা, যৌন অক্ষমতা, মানসিক চাপ কমাতে এবং শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হয়। এই মাদকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক। দীর্ঘদিন এই মাদক সেবনের ফলে মস্তিষ্কসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। শারীরিক গঠন এবং সামাজিক সৃজনশীলতা নষ্ট হয়ে যায়।
সূত্র- ডেইলি মেইল