দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের আসামের এনআরসি তালিকা হতে বাদ পড়া ১৯ লাখ মানুষের মধ্যে ১৪-১৫ লাখ ‘অবৈধ অভিবাসীকে’ বাংলাদেশে ফেরত নিতে বলবেন বলে জানিয়েছেন আসামের অর্থমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা হেমন্ত বিশ্ব শর্মা।
ভারতের আসামের এনআরসি তালিকা হতে বাদ পড়া ১৯ লাখ মানুষের মধ্যে ১৪-১৫ লাখ ‘অবৈধ অভিবাসীকে’ বাংলাদেশে ফেরত নিতে বলবেন বলে জানিয়েছেন আসামের অর্থমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা হেমন্ত বিশ্ব শর্মা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসামের অর্থমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা হেমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলে তাদের লোকদেরকে ফিরিয়ে নিতে বলবো। তবে যতোদিন ফিরিয়ে না নেওয়া হচ্ছে, ততোদিন আমরা তাদের ভোটাধিকার দেবো না। তবে বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা তাদের দেওয়া হবে।’
বিজেপির এই নেতা আরও বলেন, ১৯৭১ সালের পর যারা শরণার্থী হিসেবে এদেশে এসেছে তারাই সমস্যার সম্মুখীন হবেন। আমরা তাদের প্রতি সহমর্মী। তবে তালিকার মধ্যে অনেকেই আছেন, যারা নাগরিক নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছেন। আমরা এই বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
আসামের অর্থমন্ত্রী আরও বলেন যে, আসামের আদিবাসীরা নিজেদের জায়গা ফিরে পাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। আমরা প্রায় ১৪-১৫ লাখ বিদেশিকে চিহ্নিত করেছি- এটি প্রমাণিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন তা আমরা আমলেই নিচ্ছি না। অবৈধ বিদেশিরা মমতার ভোটব্যাংক। তাই তিনি তাদের হয়ে কথা বলছেন।
ইতিপূর্বে গত শনিবার চূড়ান্ত এনআরসি প্রকাশ করেছে আসাম সরকার। ওই তালিকায় চূড়ান্তভাবে ঠাঁই হয়েছে ৩ কোটি ১১ লাখ মানুষের। অপরদিকে তালিকা হতে বাদ পড়েছে ১৯ লাখ ৬ হাজারের কিছু বেশি মানুষ।
এই বিষয়ে আসাম রাজ্য পুলিশ বলেছে, এনআরসিতে নাম না ওঠা ব্যক্তিরা এফটিতে আবেদনের জন্য ১২০ দিন পর্যন্ত সময় পাবেন।
দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নাম ওঠাতে ব্যর্থ নাগরিকরা চাইলে প্রথমে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারবেন, তারপর সুপ্রিম কোর্টেরও। আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হলে কাওকেই ডিটেনশন ক্যাম্প এ (ডি-ক্যাম্প) পাঠানো হবে না।
কিন্তু বাদ পড়া এসব নিরীহ মানুষের পক্ষে এসব আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়াটা নিতান্তই দুরূহ ব্যাপার বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। এই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।