দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিদানের বিষয়টি এক সময় থাকলেও বর্তমান সময়ে হিন্দু ধর্মেও এই ধরনের রীতি আর নেই। কারণ এটি একটি জঘন্যতম অপরাধ হিসেবেই দেখা হয়ে থাকে। সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, সম্প্রতি পেরুর রাজধানী লিমার উত্তরের উপকূলীয় শহর হুয়ানচাকোতে সন্ধান পাওয়া গেছে এমন একটি গণকবর।
বলিদানের বিষয়টি এক সময় থাকলেও বর্তমান সময়ে হিন্দু ধর্মেও এই ধরনের রীতি আর নেই। কারণ এটি একটি জঘন্যতম অপরাধ হিসেবেই দেখা হয়ে থাকে। সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, সম্প্রতি পেরুর রাজধানী লিমার উত্তরের উপকূলীয় শহর হুয়ানচাকোতে সন্ধান পাওয়া গেছে এমন একটি গণকবর।
ধারণা করা হচ্ছে যে, দেবতাকে খুশি করতে দুই শতাধিক শিশুকে বলি দেওয়া হয়েছে। এমন একটি লোমহর্ষক ঘটনার সন্ধান পেয়েছেন পেরুর প্রত্নতাত্ত্বিকরা। মানব ইতিহাসে এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিশু বলির ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায় যে, পেরুর রাজধানী লিমার উত্তরের উপকূলীয় শহর হুয়ানচাকোতে প্রত্নতাত্ত্বিকরা সম্প্রতি এমন একটি গণকবর খুঁজে পেয়েছেন। সেখানে ৫ হতে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের ২২৭টি মৃতদেহ পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে যে, সম্ভবত ৫০০ বছরেরও বেশি সময় পূর্বে ওই শিশুদের বলি দেওয়ার ঘটনাটি ঘটেছিলো।
জানা যায়, নতুন গণকবরে পাওয়া মৃতদেহগুলোর কয়েকটিতে আবার এত বছর পরও চুল ও চামড়া পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
মৃতদেহগুলো পরীক্ষা করে তারা বলেছেন যে, খুব সম্ভবত বৃষ্টিভেজা আবহাওয়ায় ওইসব শিশুদের হত্যা করা হয়। মৃতদেহগুলো সমুদ্রের দিকে মুখ করে কবর দেওয়া হয়েছিল। এটি থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে, চিমু সভ্যতার লোকজন তাদের দেবতার সন্তুষ্টির জন্যই ওই শিশুদেরকে বলি দিয়েছিল।
উল্লেখ্য যে, পেরুর উত্তর উপকূলে এই চিমু সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। যা ওই অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী সভ্যতাগুলোর মধ্যে একটি। ১২০০ শতাব্দী হতে ১৪০০ শতাব্দীর মধ্যে চিমু সভ্যতার নাম ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ইনকাদের আক্রমণে চিমু সভ্যতা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। চিমু সভ্যতার লোকজন চাঁদকে দেবতা মানতো; যার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘শি’। তাদের বিশ্বাসই ছিল, চাঁদ সূর্যের চেয়েও অনেক শক্তিশালী। দেবতাকে তুষ্ট রাখতে তারা প্রায় সময় নরবলি দিতো বলেও চিমু সভ্যতার ইতিহাসে পাওয়া যায়। তথ্যসূত্র: বিবিসি