দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বন্য হাতি কিছু কিছু স্থানে মানুষকে এমনভাবে উৎপাত করে যে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। যেমন এক ব্যক্তি বন্য হাতির উৎপাতে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে গাছে বসবাস করছেন!
বন্য হাতি কিছু কিছু স্থানে মানুষকে এমনভাবে উৎপাত করে যে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। যেমন এক ব্যক্তি বন্য হাতির উৎপাতে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে গাছে বসবাস করছেন!
কোলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার এক খবরে বলা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে ভারতে। ভুটানের জঙ্গল থেকে আসা হাতির পাল ভারতের একটি গ্রাম তছনছ করতো। হাতির ভয়ে বারবার করে পালিয়ে গাছে উঠতে হতো। চোখের সামনে দেখতে হতো, হাতে গড়া ঘর কীভাবে ভেঙে চুরে তছনছ করে দিচ্ছে হাতির পাল। এভাবে অনেক বছর কাটানোর পর ভারতের আসামের বাক্সা জেলার মুসলপুরের বাসিন্দা বিজয় ব্রহ্মের বিতৃষ্ণা ধরে যায় মাটির ঘর বাড়ির জীবনে।
তাই শেষ পর্যন্ত গাছের উপরেই থাকা শুরু করেন তিনি। গত ১৩ বছর ধরে গাছের উপরে বাস করা বিজয়কে গ্রামের মানুষ বর্তমানে ‘বনমানুষ’ বলেই ডাকেন। বিজয় বলেন, মানুষের সংস্পর্শে আসতেও পছন্দ করেন না তেমন।
ছোটবেলায় অনাথ হওয়ার পর তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করে দিন কাটাতেন। চৌকি বনাঞ্চলের কাছেই তার বাড়ি ছিল। একলা মানুষ, তাই ছোট্ট ঘরই ছিল তার একমাত্র সম্বল। তবে দু:খের বিষয় সেটিও প্রায়ই ভেঙে দিতো হাতিরা।
বিজয় আরও বলেন যে, বারবার এই ঘটনার পর ভাবলাম রাত নামলে যখন হাতির ভয়ে গাছেই উঠতে হয়, তখন খামাকা মাটিতে ঘর বানিয়ে কী লাভ? তাই কাঠ, তক্তা জোগাড় করে বনে গাছের উপরেই ছোট্ট ঘর তৈরি করে ফেললাম।
তারপর অন্যের বাড়ির কাজও ছেড়ে দেন বিজয। জঙ্গলে যা পাওয়া যায় তাই খেয়েই কাটতে লাগলো তার। বছয় ছয়েক চৌকি বনাঞ্চলের ভিতরে থাকার পর পাগলাদিয়া নদীর পারে খৈরানি পথারের কাছে নতুন একটি গাছে বাসা বাঁধেন বিজয়। সেখানেও প্রায় ৭ বছর হতে চললো। বিজয় বলেন, বনের আলু, কচু, শাক, নদীর মাছ, শামুক, কাঁকড়া- যা পান তা খেয়েই দিব্যি দিন কেটে যাচ্ছে তার। একা মানুষের আর কি চাওয়ারই বা থাকতে পারে?