দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অন্য দেশ থেকে স্পেনে প্রবেশ করা সকল যাত্রীদেরকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় তারা শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ফার্মেসিতে যেতে পারবেন।
শুধু তাই নয়, তাদেরকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে। গতকাল (শুক্রবার) থেকে এই নির্দেশনাটি কার্যকর হয়েছে দেশটিতে। গত মঙ্গলবার স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতে এই নির্দেশনা রাষ্ট্রীয় অফিসিয়াল বুলেটিন (বিওই)-এ প্রকাশিত হয়।
স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রদত্ত নির্দেশনায় জানানো হয় যে, শুক্রবার থেকে জরুরি অবস্থা চলাকালীন অর্থাৎ আগামী ২৪ মে পর্যন্ত যেসকল যাত্রী স্পেনে প্রবেশ করবেন, তাদের অবশ্যই ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তবে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সংসদে যদি জরুরি অবস্থা আরও বৃদ্ধির অনুমোদন দেওয়া হয়ে থাকে, তবে স্পেনে প্রবেশকারীদের জন্য সেই নির্দেশনা জরুরি অবস্থার বৃদ্ধিকৃত সময় পর্যন্তও বলবৎ থাকবে।
স্থানীয় পত্রিকা ‘এল পাইস’ এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানানো হয় যে, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ইউরোপিয়ান দেশগুলোর পদক্ষেপ অনুযায়ী স্পেনে প্রবেশকারী যাত্রীদের হোম কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ইতিপূর্বে কেবল অন্য দেশ হতে আসা স্পেনের বিচ্ছিন্ন অধিবাসী এবং ইতালি হতে ভ্রমণ করা স্পেনের অধিবাসীদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশনা ছিল।
তবে নতুন গেজেট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, শুক্রবার থেকে সকল আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের স্পেনে প্রবেশের পরই হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। হোম কোয়ারেন্টিনে থাকাকালীন কেবল প্রয়োজনীয় পণ্যাদি যেমন- খাবার ও ওষুধ কেনা এবং চিকিৎসা সহায়তা নিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে তাদের। সবসময় মাস্ক পরতে হবে।
কোয়ারেন্টিনে থাকাকালীন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ পৃথকভাবে স্বাস্থ্যের অবস্থা যাচাই করতে যোগাযোগ রাখবে এবং করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে নিজেদেরই স্বাস্থ্য সেবায় ফোন করতে নির্দেশনাও দেওয়া হবে। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ যাত্রীবাহী লোকেশন কার্ড প্রদান করবে ও স্পেনে প্রবেশের সময় যাত্রীদের অবশ্যই সেই কার্ড সঙ্গেই রাখতে হবে বলে আদেশ জারি করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।