দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রকাশ্য স্থানে মুসলমান নারীদের পুরো মুখ-ঢাকা নেকাব বা বোরকা পরা নিষিদ্ধ আইন কার্যকর হচ্ছে অস্ট্রিয়ায়। জারি করা এই আইনটি রবিবার কার্যকর হয়েছে।
দেশটির সরকার বলেছে, অস্ট্রিয়ার মূল্যবোধ রক্ষার জন্যই এই আইনটি করা হয়েছে। এই আইন অনুযাযী, মাথার চুল থেকে চিবুক পর্যন্ত মুখ দৃশ্যমান থাকতে হবে।
জানা গেছে, ৮০ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত অস্ট্রিয়ায় প্রায় ৭ লাখ মুসলমান বসবাস করে। তবে দেশটিতে ১৫০ জনের মতো মুসলমান নারী পুরো মুখ-ঢাকা বোরকা কিংবা নেকাব পরেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নেকাব নিষিদ্ধের পাশাপাশি এই আইনে চিকিৎসাগত কারণে মুখ ঢাকা কিংবা সং সাজা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এই আইন এমন এক সময় কার্যকর করা হলো যখন দেশটিতে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনের পূর্বে ইসলামভীতি বা বিদ্বেষের অনুভূতিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, আসছে নভেম্বর মাসের ওই নির্বাচনে হয়তো একটি উগ্রদক্ষিণপন্থি দল কোয়ালিশন সরকারের অংশ হয়ে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেছেন যে, আইনগতভাবে সম্ভব হলে জার্মানিতেও পুরো-মুখ-ঢাকা বোরকা কিংবা নেকাব নিষিদ্ধ করা উচিত। তবে যুক্তরাজ্যে নেকাব বা বোরকার ওপর কোনো রকম নিষেধাজ্ঞা নেই।
তবে অষ্ট্রিয়ার পর্যটন কর্মকর্তারা নয়া এই আইনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন যে, এতে প্রতিবছর উপসাগরীয় আরব দেশগুলো হতে আসা পর্যটকদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে ২০১১ সালে ফ্রান্স এবং বেলজিয়াম মুখ ঢাকা বোরকার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। অপরদিকে নেদারল্যান্ডসের পার্লামেন্টে এই ধরনের একটি বিল আনা হয়েছে।