দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে লুকিয়ে রয়েছে নানা ধরণের অজানা ঘটনা ও নানা রহস্য। অনেক ক্ষেত্রে আমরা এগুলো সম্পর্কে জানলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেগুলো হয়তো আমাদের জানার বাইরে রয়ে যায়। আজ আমরা জেনে নেবো- ‘ফ্ল্যাটফিশ’ এর কিছু অজানা তথ্য।
ফ্ল্যাটফিশ মূলত অগভীর সমুদ্রের একটি প্রাণী। সমুদ্র তলদেশে বাস করে এই প্রাণী। যার রয়েছে প্রায় পাঁচশত প্রজাতি। এরা দেখতে অনেকটা চাঁদা মাছের মতোই চ্যাপ্টা। এই ফ্ল্যাটফিশের দুইটি বৈশিষ্টও রয়েছে।
প্রথমত: ক্যামোফ্লেজ বা ছদ্মবেশ ধারন। পরিণত প্ল্যাটফিশ বেশীরভাগ সময় সমুদ্রের তলদেশের মাটিতেই শুয়ে থাকে। এ সময় শত্রু হতে আত্মরক্ষা এবং শিকার ধরার প্রয়োজনে এটি যেখানে শুয়ে থাকে অল্প সময়ের ভিতরেই সেই পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে শরীরের রংও পরিবর্তন করে ফেলে।
দ্বিতীয়ত: এদের চোখের অবস্থান পরিবর্তন। সদ্য জন্ম নেওয়া ফ্ল্যাটফিশের দুইটি চোঁখ শরীরের দুই পাশে থাকলেও পরিণত ফ্ল্যাটফিশের দুইটি চোঁখই শরীরের একদিকে পাশাপাশিভাবে অবস্থান নেয়। প্রথমাবস্থায় যখন এই প্রাণীটি সমুদ্রতলে শুয়ে থাকে তখন এর একটি চোঁখ উপরের দিকে ও আরেকটি চোঁখ নীচে মাটির দিকেই থাকে। তবে ধীরে ধীরে এর নীচের চোখটি অবস্থান পরিবর্তন করে উপরের অন্য চোখটির পাশেই চলে আসে।
ফ্ল্যাটফিশের যে পাশটি নীচের দিকে থাকে সেই পাশটির রংও থাকে হালকা ধূসর। উপরের দিকের পাশটি পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিবর্তন ঘটে। আরেকটি মজার কথা হলো ফ্ল্যাট ফিশের একটি প্রজাতি সব সময়ই একই দিক নীচের দিকে রেখে সমুদ্র তলে শুয়ে থাকে। কোনো প্রজাতি বাম দিকে ও কোনো প্রজাতি ডান দিকে। সেই হিসেবে বাম কিংবা ডান চোখটি অবস্থানও পরিবর্তন করে।
আটলান্টিক এবং প্যাসিফিক মহাসাগরে ফ্ল্যাটফিশ খুবই সহজলভ্য। বড় প্রজাতির ফ্ল্যাটফিশগুলো জনপ্রিয় খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে উপকুলীয় দেশগুলোতে।
ফ্ল্যাটফিশের পূর্বসূরী হিসেবে ৫০ মিলিয়ন পূর্বে সমুদ্রে বিচরণ করা এ্যাম্ফিস্টিয়াম (Amphistium) কে ধরা হয়ে তাকে। প্রাপ্ত এই ফসিল হতে দেখা যায় যে, এর দুটি চোখ শরীরের একই দিকে না থাকলেও এর একটি চোখ মাথার একেবারে উপরে চলে আসে। ধারনা করা হয় যে, বিবর্তনের মধ্যবর্তী অবস্থানটাই হলো এই এ্যাম্ফিস্টিয়াম।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।