দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিভিন্ন ধর্মে খাওয়া নিয়ে নানা ধরনের বিধি-নিষেধ রয়েছে। এইসব বিধি-নিষেধ মেনেই চলে থাকেন ওইসব ধর্মের অনুসারীরা। আজ জেনে নিন খাওয়ার নিয়ে বিভিন্ন ধর্মের বিধি-নিষেধ সম্পর্কে।
আমরা সবাই জানি মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন হয়ে থাকে খাদ্য ও পানীয়ের। তবে বিশ্বজুড়ে সব ধর্মের মানুষের খাবারের উপর রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন রকম বিধি-নিষেধ। ধর্ম হলো তাই যা কিনা মানুষ নিজেই ধারণ করে থাকেন। সেই ধারণের প্রশ্ন থেকেই ভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের এড়িয়ে চলতে হয় বেশ কিছু খাবারের ক্ষেত্রে। আজ আমরা জানবো কোন ধর্মে খাবারের উপর কি ধরনের বিধি-নিষেধ রয়েছে সে সম্পর্কে।
ইসলাম ধর্ম
ইসলাম ধর্মে শূকরের মাংস খাওয়া পুরোপুরি হারাম। এছাড়াও বেওয়ারিশ পশুপাখির মাংস ও পশুপাখির রক্ত পান করাও হারাম। পবিত্র এই ধর্মটি তাদের বিধানে মাছ ব্যতিত সবধরনের জলজ এবং মৃত প্রাণী ভক্ষণ করার বিষয়েও পুরোপুরিভাবে নিষেধ করেছে। এই ধর্মে মদ্য পান করাকেও মহাপাপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
হিন্দু ধর্ম
গরুকে ‘পবিত্র মাতা’ বলে থাকেন হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা। সেই জন্য এই ধর্মমতে গো-হত্যা নিষিদ্ধ ও গো-মাংস ভক্ষণ করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও হিন্দুদের মধ্যে একটি বড় অংশ নিরামিষ ভোজন করে থাকেন।
ইহুদি
ইহুদি ধর্মের অনুসারীরা যা খেতে পারবে তাকে তারা কোশার বলে থাকে এবং তাদের ধর্মে নিষিদ্ধ খাবারকে ক্রেফা বলা হয়ে থাকে। যেসকল প্রাণীর পায়ের খুর পুরোপুরি চেরা ও যারা জাবর কাটে (যেমন- গরু, ছাগল বা ভেড়া) সেইসব প্রাণী তারা খেতে পারবে। এর ব্যতিত কোনো প্রাণী তারা খাবার হিসেবে গ্রহণ করেন না (যেমন- ঘোড়া বা শূকর)। ইহুদিদের খাবারের তালিকায় থাকা মাছের আঁশ এবং পাখনা না থাকলে সেটিও তাদের জন্য নিষিদ্ধ।
বৌদ্ধধর্ম
এই ধর্মটিতে সব ধরণের মাংস, এমনকি মাছ ভক্ষণ করাও সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এই ধর্মের অনুসারীরা বিশ্বাস করেন যে, কোনো প্রাণিসত্তার মৃত্যুর জন্য তাদের দায়ী হওয়া মোটেও উচিৎ নয়। সে কারণে তারা পুরোপুরিভাবে নিরামিষভোজী।
শিখ
ইসলাম ধর্ম এবং ইহুদিদের মতোই এই ধর্মের অনুসারীদেরও শূকরের মাংস খাওয়া নিষেধ। সেই সঙ্গে হালাল মাংসও তাদের জন্য নিষিদ্ধ। শিখ ধর্মে অন্য কোনো ধর্মের ধর্মাচারে অংশগ্রহণ করাও তাদের জন্য নিষিদ্ধ। সে কারনে তাদের খাবারের তালিকায় প্রাণীদের মাংস নিষিদ্ধ থাকে সব সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।