দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্যাপক সাড়া পড়েছে এফডিসিতে আয়োজিত ‘মোল্লার মুড়ি উৎসব’এর। মোল্লার পাশে দেখা যাচ্ছে চলচ্চিত্র নির্মাতা, শিল্পী, কলাকুশলীদেরও।
এই উৎসবে এগিয়ে এসেছেন চিত্রনায়ক আলমগীর, জায়েদ খান, প্রযোজক আলিমুল্লাহ খোকন, ফরমান আলী, প্রযোজক জাহাঙ্গীর, চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহ আলম কিরন, আরিফুর জামান আরিফ, শাহীন সুমন, সাইমন তারিক, জাসিম উদ্দিন জাকির, আবু রায়হান জুয়েল, চিত্রনায়িকা মৌমিতা মৌ, অরিন, তানিন সুবাহ, অভিনেতা হারুন রশিদ, আব্দুল হক, সাংবাদিক প্রতীক আকবর, এসকে মিডিয়া এবং পুলিশ কর্মকর্তা আল মামুন।
উৎসবটি আয়োজনের পেছনে কাজ করছেন সাংবাদিক পেশায় জড়িত মাজহার বাবু, আহম্মেদ তেপান্তর, রাহাত সাইফুল, আসিফ আলম, এ এইচ মুরাদ, রঞ্জু সরকার ও রুহুল আমিন ভূঁইয়া।
এক সময় রমরমা সময় ছিল ঢাকাই চলচ্চিত্রের। সকাল হতে মধ্যরাত অবধি চলতো এ্যাকশন কাটের কর্মযোগ্য, এখন সবই যেনো অতীত। ক্ষয়ে গেছে সেদিনের সেইসব সোনালি সঞ্চয়। সংস্কৃতিকর্মী থেকে শুরু করে এর সঙ্গে অষ্টেপৃষ্ঠে থাকা মানুষগুলোও আজ যেনো ফুরিয়ে যাওয়া এক একটা বস্তুতে পরিণত হয়েছে! আবদুল মান্নান মোল্লা তাদের মধ্যে একজন।
আবদুল মান্নান মোল্লা ১৯৭২ সাল থেকে ঢাকার এফডিসিতে মুড়ি বিক্রি করে আসছেন। রাজ্জাক, শাবানা, আলমগীর, মান্না, সালমান শাহ হতে শুরু করে এই সময়ের সব তারকা এবং এফডিসির কলাকুশলীদের প্রিয় মুখ, অনেক দিনের সেই সকলের চেনা মোল্লা এবং তার ঝালমুড়ি। বিএফডিসির সর্বস্তরের প্রিয়মুখ ঝালমুড়িওয়ালা মোল্লা এবার ফিরতে চাইছেন নিজ গ্রামে। বাকি জীবনটা সেখানেই কাটাতে চান তিনি। কারণ হলো ইতিমধ্যে এক হাত অকেজো হয়ে গেছে তার। কমে গেছে মুড়ি বিক্রিও। চলছে না তার জীবন এবং সংসার।
তার এমন দুঃসময়ের সময় পাশে দাঁড়িয়েছেন একদল বিনোদন সাংবাদিক। আয়োজন করা হয়েছে মোল্লাকে বাড়ি ফেরানোর জন্য এক উৎসব। যে উৎসবের মাধ্যমে জানানো যাবে তাকে সম্মান, সেই সঙ্গে করা হবে আর্থিক উপকার। যা দিয়ে নিজ গ্রামে বাকি জীবন মোল্লা কাটাবেন কিছুটা স্বাচ্ছন্দে। মোল্লা যাবে বাড়ি- এই স্লোগান নিয়ে ৩ দিনের এই মুড়ি উৎসবের শুরুটা হয়েছে শুক্রবার বেলা ৩টা হতে। এফডিসিতে এই উৎসব চলছে প্রতিদিন রাত ৮টা পর্যন্ত। আজ রবিবারও চলবে একই সূচিতে এই উৎসব।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।