দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চুল হলো নারীর সৌন্দর্যের অন্যতম একটি অংশ। স্বাস্থ্য উজ্জ্বল ঝলমলে চুল সবাই পছন্দ করেন। আর সেটিই স্বাভাবিক। এই চুল ঠিক রাখতে আপনি ঘরে বসেই করুন প্রোটিন ট্রিটমেন্ট।
বাইরের ধুলাবালি, রোদ ও দূষিত আবহাওয়ার কারণে চুলের সৌন্দর্য যেনো দিন দিন নষ্ট হয়ে যায়। রুক্ষ্ম ক্ষতিগ্রস্ত চুলে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে পারে প্রোটিন হেয়ার প্যাক। তাইতো অনেকেই পার্লারের নিয়মিত প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করে থাকেন। কিন্তু সব সময় কী পার্লারের যাওয়ার সময় হয়ে উঠে? তাই ঘরেই করে নিতে পারেন প্রোটিন ট্রিটমেন্ট। নিয়মিত প্রোটিন ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে রুক্ষ্ম চুল হয়ে উঠবে আরও স্বাস্থ্যজ্বল ও ঝলমলে।
মেয়নেজ ও আভাকাডো
মেয়নেজ ডিম ও তেল দিয়ে তৈরি হওয়ার কারণে এটি চুল ময়েশ্চারাইজ করে থাকে। আভাকাডো চুলের রুক্ষ্মতা এবং ভঙ্গুর রোধ করে। একটি আভাকাডো চটকে ও দুই টেবিল চামচ মেয়নেজ একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে তা দিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকটি চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিন। তারপর ৩০ মিনিট সময় রেখে চুল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের রুক্ষ্মতা দূর করার পাশাপাশি এটি চুল আরও মজবুত করতে সাহায্য করবে।
ডিমের প্যাক
প্রোটিনের অন্যতম উৎসই হলো ডিম। ডিমের কুসুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাট এবং প্রোটিন যা চুল ময়েশ্চার করতে সাহায্য করে। আবার ডিমের সাদা অংশ মাথার তালু পরিষ্কার করতে সাহায্য করে থাকে।
১টি কিংবা ২টি ডিম ভালো করে ফেটে সম্পূর্ণ চুলে ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত চুলের জন্য ডিমের সাদা অংশ ও শুষ্ক চুলের জন্য সম্পূর্ণ ডিমই ব্যবহার করুন। এটি মাথায় অন্তত ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। ডিমের সঙ্গে লেবুর রসও মেশাতে পারেন। এছাড়াও ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন ইচ্ছে করলে। এটি চুলের রুক্ষ্মতা দূর করার পাশাপাশি চুল বৃদ্ধি করণেও কাজে আসবে।
টকদই এর প্যাক
টকদই ভালো করে ফেটে নিয়ে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করে লাগাতে পারে। এটি চুলে ২০/২৫ মিনিট রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এছাড়াও ডিম ও টকদই একসঙ্গে মিশিয়েও নিতে পারেন। এই প্যাকটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।