দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করোনা মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী বৈষম্য বাড়ছে। একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের অবস্থা খারাপ হয়েছে। আবার করোনা মহামারিকালে রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে ধনীদের সম্পদ। এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
অতিমারির কারণে প্রায় প্রতিটি দেশেই হয়েছে লকডাউন। অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়েছে। বহু মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। বহু মানুষ গরীব হয়ে গেছেন। অপরদিকে বিশ্বে অতি-ধনীদের সংখ্যা আরও বেড়েছে। এই দুটো বিপরীতমুখী ঘটনা করোনাকালে বাস্তব হয়ে দেখা দিয়েছে। করোনাকালে বিশ্বব্যাপী অন্তত ৬ হাজার মানুষ সুপার রিচদের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। রয়টার্স এর এক তথ্যে এটি উঠে এসেছে।
ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি রিপোর্ট শীর্ষক এই প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করে সমাজবিজ্ঞানীদের একটি নেটওয়ার্ক। এতে বলা হয়েছে যে, এই বছর বিলিয়নেয়াররা সম্মিলিতভাবে বিশ্বের মোট সম্পদের ৩ দশমিক ৫ শতাংশের মালিক হয়েছেন। ২০২০ সালের গোড়ার দিকে মহামারির শুরুতে এর পরিমাণ ছিল ২ শতাংশের কিছু বেশি। অর্থাৎ বিশ্ব অর্থনীতির একটি বড় অংশই গুটিকয়েক অতি ধনীর হাতে চলে গেছে।
এই সমীক্ষার প্রধান প্রণেতা লুকাস চ্যান্সেল বলেছেন, ‘কোভিড সংকট অত্যন্ত ধনী ও বাকি জনসংখ্যার মধ্যে বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।’
তিনি উল্লেখ করেছেন, ধনী দেশগুলো অন্যত্র দেখা যাওয়া দারিদ্র্যের তীক্ষ্ণ উত্থানকে প্রশমিত করতে ব্যাপক আর্থিক সহায়তাকে কাজেও লাগিয়েছে।
গত জুনে পৃথক এক প্রতিবেদনে করোনাকালে অতি-ধনীদের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি উঠে এসেছিলো। করোনাকালীন সময় একদিকে সাধারণ মানুষের অবস্থা খারাপ হয়েছে। প্রায় প্রতিটি দেশেই লকডাউন হয়েছে। অর্থনীতিতে তার প্রভাবও পড়েছে। বহু মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। আর বহু মানুষ গরিব হয়ে গেছেন। অপরদিকে বিশ্বে সুপার-রিচ বা অতী ধনীদের সংখ্যা আরও বেড়েছে। অর্থাৎ করোনাও কিছু মানুষের অতি ধনী হওয়াকে থামাতেই পারেনি। বরং কোভিডের কারণে ধনী ও গরিবের মধ্যে বৈষম্য আরও বেড়ে গেছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।