দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত শীতকালেই আমলকি বেশি পাওয়া যায়। আমলকি হলো সবুজ রঙের স্বচ্ছ ফল। যে সংস্কৃত শব্দ থেকে এর নামকরণ হয়েছে, তার অর্থই হলো ‘জীবনের অমৃত’।
আমলকি অগণিত রোগের চিকিৎসার জন্য বিখ্যাত। প্রাচীন চিকিৎসা শাস্ত্র মতে, কফ, বাত, পিত্ত- এই তিন প্রধান রোগের চিকিৎসায় বিশেষ কাজে লাগে আমলকি। এটি একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট বটে। এখন অনেক চিকিৎসক আমলকি প্রতিদিনের খাবারে অন্তর্ভুক্ত করতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
# আমলকি আপনার ত্বক ও চুলের জন্য ভালো। আমলকি রক্ত বিশুদ্ধ করে ও ত্বকে পুষ্টি জোগায়। তাছাড়াও এতে জরা-রোধক পুষ্টিকর উপাদানও রয়েছে।
# আমলকি ওজন কমাতে সাহায্য করে। শীতকালে আমরা নানা স্বাদের খাবার খেয়ে থাকি, যে কারণে ওজন বৃদ্ধি পায় দ্রুত। শরীর হতে অতিরিক্ত মেদ বের করে দিতে আমলকি হতে পারে অন্যতম প্রধান অবলম্বন।
# আমলকি দৃষ্টিশক্তি ও হজমশক্তি উন্নত করে। শীতকালে আমাদের হজম প্রক্রিয়া প্রায়ই ব্যাহত হয়ে থাকে। আমলকি আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
# এতে পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে। এই দুই উপাদান প্রদাহবিরোধী প্রভাব কোষগুলিকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি হতে রক্ষা করে যা ক্ষতিকর রোগ ও সংক্রমণের কারণও হতে পারে।
# আমলকি মধুমেহ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। এটি ক্রোমিয়াম সমৃদ্ধ, যে কারণে আমাদের শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বজায় রাখে।
# আমলকির ক্ষারীয় প্রকৃতি পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার ও শক্তিশালী করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যও নিরাময় করে। হাইপার অ্যাসিডিটি নিরাময় করতে ও পেটের আলসার প্রতিরোধ করতে আমলকি ব্যবহার করতে পারেন।
# আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আমলকি থাকলে তা চোখের সামগ্রিক স্বাস্থ্যেরও উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করতে পারে। চোখের ছানি, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হঠাৎ উত্তেজনার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেও সাহায্য করে এই আমলকি। চোখ লাল হওয়া, চুলকানি ও পানি পড়া রোধেও আমলকি বিশেষভাবে উপকার করে থাকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।