দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী ২০২২ খৃস্টাব্দ, ৭ মাঘ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ, ১৭ জামাদিউস সানি ১৪৪৩ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
ইসলামী ঐতিহ্য এবং কালের সাক্ষী হয়ে স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রাচীন স্থাপত্যশিল্পের ধারক ও বাহক টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী নওয়াব শাহি জামে মসজিদ। এটি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার প্রাণকেন্দ্র পৌরসভায় অবস্থিত।
জানা যায়, এই মসজিদটির প্রথম খণ্ড নির্মাণ করেন তুর্কি বংশোদ্ভূত ইসপিঞ্জার খাঁ এবং মনোয়ার খাঁ নামে দুই সহোদর। পরবর্তী সময় মসজিদটির সম্প্রসারণকাজ করেন বাংলা ভাষার প্রথম প্রস্তাবক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, যুক্ত বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, ধনবাড়ীর বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী। ১১৫ বছর আগে মসজিদটির সম্প্রসারণের মাধ্যমে আধুনিক রূপ দেওয়া হয়।
জানা যায়, প্রায় ১০ কাঠা জমির ওপর নির্মিত এই মসজিদ সংস্কারের পূর্বে ছিল আয়তাকার। তখন এর দৈর্ঘ্য ছিল ১৩.৭২ মিটার (৪৫ ফুট) ও প্রস্থ ছিল ৪.৫৭ মিটার (১৫ ফুট)।
বর্তমানে এটি একটি বর্গাকৃতির মসজিদ ও সাধারণ ৩ গম্বুজবিশিষ্ট আয়তাকার মোগল মসজিদের সঙ্গে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ একটি মসজিদ। সংস্কারের পর মসজিদের প্রাচীনত্ব কিছুটা লোপ পেলেও এর চাকচিক্য এবং সৌন্দর্য অনেকটাই বেড়েছে।
দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদের ভেতরের দেওয়ালে ব্যবহার করা হয়েছে কড়িপাথরের লতা-পাতা আঁকা অসংখ্য রঙিন নকশা এবং কড়িপাথরের মোজাইক, যা প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শন বহন করে। বাইরের দেওয়ালে ব্যবহার করা হয়েছে সিমেন্ট ও কড়িপাথরের টেরাকোটা নকশা।
মসজিদে প্রবেশ করার জন্য বানানো হয় ৫টি প্রবেশপথ। পূর্ব দিকে বহু খাঁজবিশিষ্ট খিলানযুক্ত ৩টি এবং উত্তর ও দক্ষিণে আরও একটি করে দুটি- সর্বমোট ৫টি।
৩৪টি ছোট ও বড় গম্বুজ মসজিদটিকে করেছে যেনো আরও নান্দনিক। এতে আরও রয়েছে ১০টি বড় মিনার। প্রতিটির উচ্চতা ছাদ থেকে প্রায় ৩০ ফুট হবে। মসজিদের দোতলার মিনারটির উচ্চতা প্রায় ১৫ ফুটের মতো। মিনারের ওপর লাগানো তামার চাঁদগুলো মসজিদের সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি করেছে।
মসজিদের পাশেই রয়েছে শান-বাঁধানো ঘাট এবং কবরস্থান। এখানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন নবাব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী। তিনি ১৯২৯ সালের ১৭ এপ্রিল ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর দুই বছর পূর্বে তিনি এই মসজিদে চালু করেন ২৪ ঘণ্টা কোরআন তিলাওয়াতের ব্যবস্থা (নামাজের সময় বাদে), যা গত প্রায় এক শ বছরে এক দিনের জন্য বন্ধ হয়নি। নিরবচ্ছিন্ন তিলাওয়াত সচল রাখতে নিয়োজিত রয়েছেন ৫ জন হাফেজ, যা প্রতিদিন মসজিদে আসা মুসল্লি এবং দর্শনার্থীদের অভিভূত করে।
এক কথায় বলতে গেলে, প্রাচীন আমলের মানুষের ইবাদত-বন্দেগি এবং ইসলামী ঐতিহ্যের স্মৃতিচিহ্ন ধারণ করে দাঁড়িয়ে রয়েছে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী নওয়াব শাহি মসজিদ। তথ্যসূত্র: https://www.kalerkantho.com
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।