দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মলদ্বারে প্রদাহ সৃষ্টি হওয়া, মলত্যাগের সময় তীব্র যন্ত্রণা বা রক্তপাতের সমস্যা থাকলে তা অর্শ্ব না কোলন ক্যান্সার, সেটি সাধারণ মানুষের পক্ষে বুঝে ওঠা বেশ কঠিন।
অর্শ্ব এবং কোলন ক্যান্সারের বেশ কিছু উপসর্গ মিলে যায় একইভাবে। যেমন মলদ্বারে প্রদাহ, মলত্যাগের সময় তীব্র যন্ত্রণা বা রক্তপাতের মতো সমস্যা থাকলে তা অর্শ্ব নাকি কোলন ক্যান্সার তা সাধারণ মানুষের পক্ষে বুঝে ওঠা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।
তবে কিছু উপসর্গ রয়েছে যা কিছুটা হলেও পৃথক। দিনে কতোবার মল ত্যাগের প্রয়োজন অনুভূত হয় তার তারতম্য ঘটা, আচমকা বমি বমি ভাব হওয়া বা গা ঘুলিয়ে ওঠা, ওজন কমে যাওয়া, সরু ফিতের মতো মল নির্গত হওয়া ইত্যাদি উপসর্গগুলো কোলন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে দেখা গেলেও সাধারণত অর্শ্ব রোগীদের ক্ষেত্রে মোটেও দেখা যায় না।
আবার মলদ্বারের রক্তপাতের মধ্যেও রয়েছে বেশ খানিকটা তারতম্য। অর্শ্ব রোগীদের ক্ষেত্রে যে রক্তপাত হয় তা সাধারণত লাল হয়ে থাকে। অপর দিকে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এই রক্ত কালচে রঙের হয়ে থাকে। কালচে রঙ দেহের অভ্যন্তর থেকে নির্গত রক্তেরই সূচক।
আবার পেট ব্যাথাও কোলন ক্যান্সারের অন্যতম মুখ্য একটি উপসর্গ যা সাধারণত অর্শ্বের ক্ষেত্রে একেবারেই দেখা যায় না।
কোলন ক্যান্সারে যেহেতু অন্ত্র থেকে রক্তপাত হয়, তাই এটি রক্তাল্পতা তৈরি করে থাকে। আর এই রক্তাল্পতা ডেকে আনে ক্লান্তি। অর্শ্ব রোগীদের ক্ষেত্রে এই উপসর্গটিও খুব বেশি একটা দেখা যায় না।
তবে মনে রাখা দরকার এই ধরনের সমস্যা বিপদেরই নামান্তর। তাছাড়াও সাধারণ মানুষের পক্ষে কোনটি আসলে কী তা বুঝে ওঠা অত্যন্ত কঠিন। কাজেই এই ধরনের কোনও উপসর্গ দেখা দিলে মোটেও অবহেলা করা উচিত হবে না। এই ধরনের যে কোনও উপসর্গ দেখা দিলেই অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বিচক্ষণতার পরিচয় বহন করে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।