দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ ইমো’র সেবা ও তথ্য বিষয়ক ফ্রি ব্রডকাস্ট প্ল্যাটফর্ম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে অভাবনীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে ঢাকা- ভিত্তিক জনপ্রিয় রিক্রুটিং এজেন্সি বিজিএল ওভারসিজ লিমিটেড-বিজিএল ওভারসিজ।
বিজিএল ওভারসিজ সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সি, যারা বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জনশক্তি নিয়োগ ও সরবরাহ করে থাকে।
বিজিএল ওভারসিজের কার্যক্রম ভালোভাবে চললেও, মহামারি চলাকালে তাদের ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল মামুন সিদ্ধান্ত নেন তারা ইমো চ্যানেল’এর মাধ্যমে ব্যবসার নতুন সম্ভাবনা বাস্তবায়ন করবেন। এ বছরের মে মাসে ইমো চ্যানেলে যুক্ত হয় বিজিএল ওভারসিস। ইমো টিম আনুষ্ঠানিকভাবে যাচাই-বাছাই শেষ করার পর এজেন্সিটি তাদের কাস্টমাইজড মেন্যু পায়, যার মাধ্যমে তারা তাদের সম্ভাব্য গ্রাহকদের সঙ্গে সুবিধাজনক উপায়ে যোগাযোগ করতে পারে। ইমো’র সহায়তায় এজেন্সিটি বিপুল পরিমাণে ট্রাফিক বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়। যার মাধ্যমে মাত্র ২ মাসের ব্যবধানে মার্কেটিং ম্যানেজারের ডিলের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়; যেখানে তাদের প্রতিষ্ঠানের ফলোয়ারের সংখ্যাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, যা এখন ১৩ হাজার অতিক্রম করেছে। ইমো চ্যানেলের মাধ্যমে বিজিএল ওভারসিসে পৌঁছানো অভিবাসী কর্মীর সংখ্যা প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০ জন, যা অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের তুলনায় অনেক বেশি।
বিজিএল ওভারসিসের মার্কেটিং ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “আমরা একটি সেরা প্ল্যাটফর্ম খুঁজছিলাম, যার মাধ্যমে আমরা গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যুক্ত হতে পারি। ইমো চ্যানেলে সংযুক্ত হওয়ার পর থেকে চাকরি প্রত্যাশীদের সাথে আমাদের যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের সম্ভাব্য গ্রাহকরা এখানেই আছেন এবং তারা ইমো’র ফি-ছাড়া সেবার মাধ্যমে অন্য কোনো এজেন্টের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়াই, সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলতে
পারছেন।”
বর্তমানে, দেশের বাইরে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিশাল চাহিদা রয়েছে; কিন্তু সঠিক তথ্যের অভাবে কাজের বিষয়ে অনেকেই জানেন না। ইমো চ্যানেল এ ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, যার উদ্ভাবনী ফিচারের মাধ্যমে অভিবাসী কর্মীদের কম্যুনিটি সঠিক ও অনুমোদিত তথ্যের সেবা পাচ্ছেন। মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করছেন এমন ১ কোটি বাংলাদেশি ব্যবহারকারী ইমো ব্যবহার করেন। ইমো চ্যানেলের মাধ্যমে অভিবাসী কর্মীরা বিদেশে চাকরির সুযোগ, বেতন, নিয়োগকর্তা, কোম্পানি, চাকরির শর্ত এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়ে প্রাসঙ্গিক ও অনুমোদিত তথ্য পেতে সক্ষম হবেন। ইমো চ্যানেলে এই অবাধ তথ্যপ্রবাহ চাকরিপ্রার্থীদের সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।
ভবিষ্যতে, ইমো নেতৃস্থানীয় রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর অংশীদারিত্বের মাধ্যমে একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করবে যেখানে অভিবাসী শ্রমিকরা সাশ্রয়ী মূল্যে বিভিন্ন সেবা পেতে পারেন এবং বাড়িতে বসেই তাদের প্রত্যাশিত চাকরি খুঁজে পেতে পারেন। আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের অর্জনকে আরও সমৃদ্ধ করতে এবং এ খাতকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে cooperation@imo.im -এর মাধ্যমে ইমো টিমের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।