দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নারীবাদী লেখিকা নাওমি উলফের একটি ব্লগ পোস্ট ঘিরে ফাইজারের কোভিড টিকা নিয়ে আবারও বিতর্ক শুরু হয়েছে। গর্ভবর্তীদের নিয়ে যে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে সেই বিষয়টি উঠে এসেছে।
বছর দুয়েক পূর্বে পুরো বিশ্ব জুড়ে ত্রাস তৈরি করে করোনা ভাইরাস। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে সব দেশের বিজ্ঞানীরা উঠে পড়ে লেগেছিলেন বাজারে টিকা আনার জন্য। করোনার প্রকোপ কমাতে বাজারে আসে ফাইজারের টিকা। এবার সেই টিকা নিয়েই সামনে উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর এক তথ্য।
একটি সমীক্ষার দাবি অনুযায়ী দেখা যায়, এই টিকা নেওয়ার পর প্রায় ৪৪ শতাংশ অন্তঃসত্ত্বা মহিলা নাকি তাদের সন্তান হারিয়েছেন। আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) দ্বারা ফাইজার কোভিড টিকার ট্রায়াল রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই আমেরিকার নারীবাদী লেখিকা নাওমি উলফ এক সাক্ষাৎকারে এমনটি জানিয়েছিলেন।
তবে তার এই দাবি চিকিৎসক মহলে যথেষ্ট সংশয় তৈরি করে। নাওমি জানিয়েছিলেন যে, ফাইজার সম্পর্কে এই তথ্য আমেরিকার সরকার জানা সত্ত্বেও তারা বিশ্ব জুড়ে এই টিকা অন্তঃসত্ত্বাদের দেওয়ার ক্ষেত্রে ছাড়পত্রও দেয়।
নাওমি ডেইলিক্লাউট নামে একটি ওয়েবসাইটে ব্লগে লেখেন যে, ‘ফাইজার কোভিড টিকা ট্রায়ালের সময় যে অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা অংশগ্রহণ করেন, তাদের মধ্যে প্রায় ৪৪ শতাংশেরই গর্ভপাত ঘটেছে’। নাওমির এই ব্লগ বিশ্ব জুড়ে একাধিক ওয়েবসাইটে শেয়ারও করা হয়। বেশ ভাইরাল হয় নেটমাধ্যমে।
তবে কয়েক দিনের মধ্যেই সেই ব্লগ পোস্টটি পুনরায় আপডেট করা হয়েছে। ডেইলিক্লাউট-এর তরফ হতে বলা হয় যে, তাদের ব্লগে লেখা ফাইজার টিকা সম্পর্কিত তথ্যটি সম্পূর্ণরূপে সঠিক না। দু’জন গবেষক স্বাধীনভাবে এই বিষয়ে গবেষণা চালিয়েছেন। তাদের মতে, ৪৪ শতাংশ নয়, তার চেয়েও কম ছিল গর্ভপাতের সংখ্যা। তবে এই টিকা যে একদম নিরাপদ সেটিও ওয়েবসাইটি বলছে না!
এটিই প্রথম নয়, ইতিপূর্বেও ফাইজারের কোভিড টিকা সম্পর্কে এ রকম দাবি একাধিক বার সামনে উঠে আসে। তবে ফাইজারের পক্ষ থেকে বার বার বলা হয়, অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য এই টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।