দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফুটবল রাজপুত্র ম্যারাডোনাকে হারানোর দুই বছর পূর্ণ হয়েছে গত ২৫ নভেম্বর। ২০২০ সালের এই দিনে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কেড়ে নেয় ‘ফুটবল ঈশ্বর’কে!
মাত্র ৬০ বছরের জীবনে পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসা পাওয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চে বিজয়ীর ট্রফি হাতে দেখা যায় তাকে। বস্তির ছেলে থেকে তিনি হয়ে উঠেছিলেন ‘ফুটবল ঈশ্বর’। তার জীবনের ঘটনাগুলো যেনো সিনেমাকেও হার মানিয়েছেন। ম্যারাডোনার জীবনের ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছে বেশকিছু সিনেমাও। তাকে হারানোর জেনে নিন ফুটবলের এই কিংবদন্তীর জীবন নিয়ে তৈরি আলোচিত সিনেমা এবং সিরিজগুলো সম্পর্কে।
ডিয়েগো ম্যারাডোনা (২০১৯ সাল)
কিংবদন্তী আর্জেন্টাইন ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনার অদেখা ফুটেজ নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ডকুমেন্টারি ‘ডিয়েগো ম্যারাডোনা’। এটি নির্মাণ করেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নির্মাতা আসিফ কাপাডিয়া। ১৩০ মিনিটের এই ডকুমেন্টারিতে নেপলসে ম্যারাডোনার জীবনকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। কীভাবে ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলিতে থাকাকালীন সময় ম্যারাডোনার নানা ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে তা নিয়েও জানা গেছে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য। ম্যারাডোনার নিজের সংগ্রহে ছিল সেই সময়ের ফুটেজগুলো। আসিফ কাপাডিয়া তার তথ্যচিত্রে সেইসব ফুটেজ ব্যবহার করেছেন।
ম্যারাডোনাপলি (২০১৭ সাল)
ক্লাব ফুটবলে নাপোলির জার্সিতে কীর্তিগুলো ম্যারাডোনা নামটাকে কখনই নিষ্প্রাণ রাখবে না। ১৯৮৪ হতে ১৯৯১ -এ ৭টি বছর নাপোলির জন্য ছিল রূপকথার মতোই। ইতালির নির্মাতা অ্যালেসিও মারিয়া ফেদেরিচি নেপলসে থাকাকালীন ম্যারাডোনার জীবন নিয়ে নির্মাণ করেন ‘ম্যারাডোনাপলি।’
লাভিং ম্যারাডোনা (২০০৫ সাল)
বস্তির একজন সাধারণ ছেলে ডিয়েগো হতে ফুটবলের রাজা ম্যারাডোনা হয়ে উঠার বিষয়টি ছবিতে ফুটিয়ে তোলা হয়। ম্যারাডোনাকে নিজের ট্যাটু সম্পর্কেও বলতে দেখা যায়। ভক্তদের শরীরে ম্যারাডোনার ট্যাটুও দেখানো হয়।
ম্যারাডোনা অব কুস্তুরিকা (২০০৮ সাল)
সার্বিয়ার নির্মাতা ও মিউজিসিয়ান এমির কুস্তুরিকা নির্মিত এই ছবিতে মূলত একজন ব্যক্তি ম্যারাডোনার জীবন, তার অর্জন, রাজনৈতিক পছন্দ, পরিবার ছাড়াও কোকেনের নেশা, মাঠের বাইরের নানা ঘটনা দেখানো হয়। বলা হয়ে থাকে যে, ম্যারাডোনাকে নিয়ে নির্মিত সবচেয়ে দারুণ সিনেমাগুলোর এটিও একটি।
ম্যারাডোনা : ব্লেসড ড্রিম
ম্যারাডোনাকে নিয়ে নির্মিত সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত কাজগুলোর মধ্যে একটি ‘ম্যারাডোনা: ব্লেসড ড্রিম’। ফুটবল কিংবদন্তীর জীবনী নিয়ে নির্মিত এটি মূলত একটি ওয়েব সিরিজ। গত বছর অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পায় এই সিরিজটি। ম্যারাডোনার ফুটবল ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ দিক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই সিরিজটিতে। শুধু খেলোয়াড় জীবনই নয় তার বাইরেও তাকে নিয়ে নানা বিতর্কিত ঘটনাও রয়েছে। সেগুলো উঠে এসেছে এই সিরিজটিতে। মাদকাসক্ত থেকে শুরু করে ‘হ্যান্ড অব গড’ গোল সবটাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই সিরিজটিতে। এই ওয়েব সিরিজটি নির্মাণ করেন আলেজান্দ্রো আইমেত্তা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।