দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানিব্যায়াম করাটা জরুরি। তবে কিছু শরীরচর্চা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য উল্টো বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাহলে কোন ব্যায়াম করা যাবে না?
অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা- এমন কিছু কারণে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিনই যেনো বাড়ছে। এই রক্তচাপের হাত ধরেই শরীরে বাসা বাঁধে আরও নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা। ডায়াবেটিস , কোলেস্টেরল তো রয়েছেই, সেইসঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে স্ট্রোক কিংবা হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। আর তাতেই বাড়তে পারে বিপদ।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব সহজ নয়, আবার তেমন কঠিনও নয়। উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়ার মুহূর্ত থেকে জীবনে একটা বদল আনাটা অত্যন্ত জরুরি। খাওয়া-দাওয়াতেও একটা নিয়ম মেনে চলা দরকার। বাইরের খাবার খাওয়া বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি। অতিরিক্ত তেল-মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলা দরকার। তাতে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা। সেইসঙ্গে নিয়ম মেনে করতে হবে শরীরচর্চাও। শারীরিক কসরত করলে উচ্চ রক্তচাপ কমানো যাবে। প্রতিদিন সময় করে শরীরচর্চা করা জরুরি। নয়তো ওষুধ খেয়েও রক্তচাপ বশে রাখা মুশকিল হয়ে যাবে। ব্যায়াম করা জরুরি, তবে কিছু শরীরচর্চা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই ব্যায়াম করার পূর্বে একটু সতর্ক থাকাটা প্রয়োজন। নচেৎ সমস্যা আরও বাড়তে পারে। রক্তচাপে ভুগলে কোন ব্যায়ামগুলো একেবারেই করবেন না তা জেনে নিন।
ওয়েট লিফ্টিং
ওয়েট লিফ্টিং ব্যায়াম হাড় এবং পেশি শক্তিশালী করতে খুবই সাহায্য করে থাকে। তবে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য ‘ওয়েট লিফ্টিং’-এর অনুশীলন এড়িয়ে যাওয়া ভালো। কারণ হলো এতে করে রক্তচাপের পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই এই ধরনের ব্যায়াম করার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা জরুরি।
স্প্রিন্টিং
যেমন সাইকেল চালানো, হালকা দৌড়াদৌড়ি, হাঁটাহাঁটি সবই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর হলেও ‘স্প্রিন্টিং’ না করাই বেশি ভালো। এতে করে শরীরের উপর চাপ পড়ে। রক্তাপের মাত্রা কমার চেয়ে আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
স্কোয়াশ
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে মূলত যোগাসন (স্কোয়াশ) করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। মাঝে-মধ্যে অল্প বিস্তর অন্যকিছু হালকা ব্যায়াম করার কথাও বলে থাকেন। মূলত স্কোয়াশ এমন একটি শারীরিক অনুশীলন যা অত্যন্ত পরিশ্রমসাধ্য বিষয়। অতিরিক্ত পরিশ্রমের কোনও কাজ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হলে এড়িয়ে যেতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।