দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পরিবেশ সংরক্ষণে অসামান্য অবদানের জন্য বালিপাড়া ফাউন্ডেশন কর্তৃক বিএটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান গোলাম মইন উদ্দীনকে ‘বাংলাদেশ লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড (আজীবন সম্মাননা পুরস্কার) প্রদান করা হয়েছে।
সম্প্রতি রাজধানীর ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) প্রধান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ১০তম বালিপাড়া ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ডস ২০২২ এ গোলাম মইন উদ্দীন এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।
১১ ডিসেম্বর থেকে ঢাকায় শুরু হওয়া ১০তম ইস্টার্ন হিমালয়ান ন্যাচারনমিক্স ফোরাম -এর অংশ হিসেবে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি; ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর পরমাণু ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূত শ্যাম শরণ ও ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য রাম মাধব।
গোলাম মইন উদ্দীন আন্তরিকতা এবং একাগ্রতার সঙ্গে ২০০৮ সালের আগস্ট থেকে বিএটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ও নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে তিনি প্রশংসনীয় এবং অনুকরণীয় ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর অনন্য নেতৃত্ব প্রদানের ধারাবাহিকতায় দেশজুড়ে জমিতে গাছের সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি ১৯৮০ সালে বনায়ন কার্যক্রমের সূচনায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন। জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলাসহ স্থানীয় সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বৃক্ষরোপন প্রকল্পের শুরু হতেই তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন। এই প্রকল্পের ৪২তম বছরেও তিনি একই উদ্দীপনায় কাজ করে চলেছেন। তাঁর নেতৃত্বে শুরু হওয়া এই কার্যক্রমের মাধ্যমে এ পর্যন্ত দেশজুড়ে ২২টি জেলার বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের বিনামূল্যে ১২ কোটি ফলজ, বনজ এবং ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। এই ধরনের একটি ফলপ্রসূ প্রকল্পের মাধ্যমে বৈশ্বিক সঙ্কট মোকাবিলায় তাঁর দূরদর্শী পদক্ষেপের স্বীকৃতিস্বরূপ ও এই সংক্রান্ত কাজে তাঁর সারাজীবনের প্রতিশ্রুতির জন্য গোলাম মইন উদ্দীনকে বাংলাদেশ আজীবন সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
এক বিবৃতিতে মইন উদ্দীন বলেন, “আজীবন সম্মাননা গ্রহণ করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমরা যখন বৃক্ষরোপণ প্রকল্পটি শুরু করি, তখন আমাদের অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম ছিলো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিভিন্ন কার্যক্রম এবং বৃক্ষরোপণ নিয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতার অভাব। পরিবেশ সংরক্ষণ ও জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের জন্য অর্থপূর্ণ কিছু করার প্রয়াসে আমরা সেই প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে বিভিন্ন উপায়ে কাজ করেছি। এই সম্মাননা পরিবেশ রক্ষা এবং এক সবুজ আগামী নির্মাণে আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টাগুলোকে এগিয়ে নিতে অনুপ্রাণিত করবে।”
বালিপাড়া ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রবর্তিত বাংলাদেশ লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়। এই পর্যন্ত এই ফাউন্ডেশন কর্তৃক ১২১ জন ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। বালিপাড়া ফাউন্ডেশন বিভিন্ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টির জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে, যা প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা ও পূর্ব হিমালয়ের অপরূপ সৌন্দর্যের পূর্ণ গৌরব ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তি’র।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।