দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শরীর খারাপ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে সেটিই স্বাভাবিক। তবে অনেকেই একটু জ্বর হলেই মুঠো মুঠো ওষুধ খাওয়া শুরু করেন। তবে আপনি কী জানেন? মুঠো মুঠো ওষুধ না খেয়েও সারতে পারে ভাইরাল জ্বর?
একটু জ্বর হলেই দোকান থেকে চেনা ওষুধের নাম বলে কিনে এনে খেয়ে নেন অনেকেই। তবে এই অভ্যাস মোটেও ভালো নয়। হুট হাট করে ওষুধ খাওয়া মোটেও ভালো কাজ নয়।
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে টুকটাক ঠাণ্ডা লাগা এখন ঘরে ঘরে দেখা যায়। তবে এই জ্বর সাধারণ ভাইরাল, না কি করোনা, আপাত দৃষ্টিতে তা বোঝাও মুশকিল। জ্বর যেমনই হোক না কেনো, খুব বাড়াবাড়ি না হলে প্রথমেই চিকিৎসক পর্যন্ত দৌড়ে যান না কেওই। সাধারণ জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই জ্বর কমার ওষুধ খেয়ে ফেলেন অনেকেই।
এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস আদৌ ভালো নয়। কারণ হলো, তৎক্ষণাৎ জ্বর কমলেও অধিকাংশ ওষুধেরই কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকেই। ভবিষ্যতে এই অভ্যাসই বিপদ ডেকে আনতে পারে আপনার জীবনে।
প্রকৃত পক্ষে জ্বর কোনও রোগ নয়। সাধারণভাবে শরীরে কোনও সংক্রমণ হলেই দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এই সংক্রমণ কমানোর জন্য সব সময় যে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে তা কিন্তু নয়। দেহের তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলেই, বা প্রচণ্ড শীত অনুভূত হলে, মাথায় কিংবা সারা দেহে যন্ত্রণা হলে, তখন অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে যদি তেমন অস্বস্তি না হয়, তাহলে সাধারণ কিছু পন্থা অবলম্বন করলেই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
এই সময় প্রচুর পরিমাণে তরল পানীয় খান
জ্বর হলে দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়- সেটিই স্বাভাবিক। এই সময় পানি খেতে একেবারেই ইচ্ছে করে না। তাই শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। তবে চিকিৎসকরা বলেছেন, এই সময় শরীরের আর্দ্র বেশি করে রাখতে হবে। তাই পানি খেতে ইচ্ছে না করলেও গরম স্যুপ, স্টু, ভেষজ চা ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। জ্বর কমে আসলে ফলের রস, ওআরএস ইত্যাদি খেয়ে শরীরকে আর্দ্র রাখার চেষ্টা করুন।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
যে কোনও রোগ নিরাময়ের প্রথম ওষুধই হলো পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া। প্রতিদিন অন্তত ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। জ্বর না থাকলেও অন্ততপক্ষে এক সপ্তাহ ভারি কাজ করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। এই সময় শরীরচর্চা কিংবা যোগব্যায়াম কিছুই করা যাবে না। এই নিয়মগুলো মেনে চললে সাধারণ জ্বর হলে এমনিতেই সেরে যাবে। তবে তারপরও যদি জ্বর না যায় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।