দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের অনেকের ধারণা ইউটিআই কেবল মহিলাদের শরীরেই বাসা বাঁধে। এই ধারণাটি মোটেও ঠিক নয়। কীভাবে মুক্তি পাবেন সংক্রমণ থেকে?
মূত্রনালিতে সংক্রমণ কিংবা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই) সব সময়ই অতর্কিতে হানা দিয়ে থাকে। সংক্রমণের পর তার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নিলেও কিংবা চিকিৎসা না করালে এই রোগ একাধিক বার শরীরে বাসাও বাঁধতে পারে। এই রোগ কেবল মহিলাদেরই হয়, এই ধারণা কিন্তু ঠিক নয়। এই রোগে
পুরুষরাও আক্রান্ত হতে পারেন।
অনেকেই আবার ইউটিআই-তে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই বাজারের কিছু ওষুধ এবং জেল ব্যবহার করতে শুরু করেন। চিকিৎসকরা মনে করেন, এই প্রবণতা অত্যন্ত খারাপ একটি বিষয়। এতে সংক্রমণ কমে না, যে কারণে অনেক সময় শরীরে ঘাপটি মেরে বসে থাকে। ওষুধ বন্ধ করার কিছু দিনের মধ্যেই প্রবলভাবে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই প্রথম থেকেই এই অসুখের সময় বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে। ডায়েটে কিছু পরিবর্তন এনে আমরা সংক্রমণ কমাতে পারি। ইউটিআই-তে আক্রান্ত হলে ডায়েটে কোন ধরনের খাবার রাখতেই হবে?
পরিমিত পানি খান
ইউরিন ইনফেকশন হলে বা ঘন ঘন ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা দেখা দিলে শরীরে যাতে পানির ঘাটতি না হয়, সেই বিষয়ে নজর রাখুন। প্রস্রাবে হলুদ ভাব দেখা গেলে দেরি না করে দিনে অন্তত আড়াই লিটার পানি খাওয়া শুরু করা উচিত। সাধারণত প্রতি ৪ হতে ৫ ঘণ্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া উচিত। প্রস্রাব হতে এর চাইতে বেশি দেরি হলে পানির পরিমাণ আরও বাড়াতেও হতে পারে। কখনও খুব বেশিক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখবেন না, এতে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার
চিকিৎসকরা এই সময় প্রোবায়োটিক জাতীয় খাদ্য বেশি পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এই প্রকার খাদ্য ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকিও কমায়। দই প্রোবায়োটিকের ভালো একটি উৎস। তাই দই খেলেও উপকার পেতে পারেন।
বেকিং সোডা ব্যবহার
মূত্রনালিতে সংক্রমণ হলে সেটি এক সময় কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও থেকে যায়। তাই দ্রুত এর ব্যবস্থা নেওয়াটা জরুরি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, বেকিং সোডা দ্রুত মূত্রনালিতে সংক্রমণ সারিয়ে তুলতেও সাহায্য করে। আধা চামচ বেকিং সোডা এক গ্লাস পানিতে ভালো করে মিশিয়ে দিনে এক বার করে খেলে প্রস্রাবের সময় জ্বালা কিঙবা ব্যথা ভাব কমেও যেতে পারে। তবে বেশি মাত্রায় বেকিং সোডা শরীরের ক্ষতিও করতে পারে, তাই সতর্ক থাকতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।