দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সেলেন্স ইন আর্কিটেকচার -এর ১০ম সাইকেলের পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থাপনার অভিনবত্ব ও অসামান্য উৎকর্ষের স্বীকৃতি হিসেবে ৫টি স্থাপত্য প্রকল্প পুরস্কৃত হয়। রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনের গ্র্যান্ড বল রুমে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের (বিপিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরী, ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের (আইএবি) সভাপতি স্থপতি প্রফেসর ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ, বিপিবিএলের চীফ সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং অফিসার মহসিন হাবিব চৌধুরী ও বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সেলেন্স ইন আর্কিটেকচার ২০২২ এর ১০ম সংস্করণের অ্যাওয়ার্ড ডিরেক্টর স্থপতি কাজী এম আরিফসহ বার্জারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, অ্যাওয়ার্ড কমিটির সদস্য, জুরি সদস্য, বিশিষ্ট স্থপতি এবং দেশের নির্মাণ খাতের সাথে জড়িত অন্যান্য পেশাজীবীরা।
২০০৩ সালে প্রথম ‘বার্জার ইয়াং আর্কিটেক্ট অ্যাওয়ার্ড’ হিসেবে এই পুরস্কার প্রদান শুরু হয়। পরে দক্ষ এবং উদীয়মান স্থপতিদের জন্য বিস্তৃত সুযোগ তৈরি করতে পুরস্কারের পরিসর বাড়িয়ে এর নামকরণ করা হয়- বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সেলেন্স ইন আর্কিটেকচার (বিএইএ)। পুরস্কারের এবারের সংস্করণের মধ্যদিয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কারের ২০ বছরের যাত্রা উদযাপন করে বার্জার। পুরস্কারটি আরও বিশেষায়িত করে তুলতে ‘ওপেন ক্যাটাগরি’র আওতায় নতুন সম্ভাবনা তৈরিতে প্রকল্পগুলোকে একযোগে আমন্ত্রণ জানায় বার্জার এবং আইএবি।
বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সেলেন্স ইন আর্কিটেকচার ২০২২ এর ১০ আবর্তনে অ্যাওয়ার্ড ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন স্থপতি কাজী এম আরিফ। সেইসঙ্গে, ডেপুটি অ্যাওয়ার্ড ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন স্থপতি ড. মাসুদ উর রশিদ এবং স্থপতি মৌসুমী আহমেদ। জুরি প্যানেলের সদস্যরা হলেন- স্থপতি নওশাদ এহসানুল হক, স্থপতি নিশাত আফরোজ, স্থপতি এস এম নাজিম উদ্দিন, থাইল্যান্ডের স্থপতি দুয়ানগ্রিত বুন্নাগ এবং বিখ্যাত ভাস্কর প্রফেসর হামিদুজ্জামান খান। বিএইএ পুরস্কারের স্থায়ী ট্রফিটির ডিজাইন করেছেন প্রফেসর হামিদুজ্জামান খান।
জুরিদের বিবেচনায় দুইপর্বের পর্যালোচনার মাধ্যমে নির্বাচিত ৫টি প্রকল্পকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। বিজয়ীরা হচ্ছেন- স্থপতি জিশান ফুয়াদ চৌধুরী (জ্যানাস আর্কিটেক্টস) এর নির’ এ ভ্যাকেশন হাউস; স্থপতি মো ইশতিয়াক জহির (ভিত্তি স্থপতি বৃন্দ লিমিটেড) এর বন এর বাড়ি (এ ফরেস্ট রিট্রিট); এবং স্থপতি খান মো. মুস্তাফা খালিদ (ভিস্তারা আর্কিটেক্টস (প্রা.) লিমিটেড) এর র্যাংগস ব্যাবিলোনিয়া। স্টুডিও মরফোজেনেসিস লিমিটেডের স্থপতি শাহলা করিম কবির এবং স্থপতি শুভ্র শোভন চৌধুরীর দ্য স্টেটসম্যান; এবং চর্চা স্থপতিজোগের স্থপতি রুম্মান মাশরুর চৌধুরী ও স্থপতি শুভ্রা দাসের হাইড্রোপড ইন্টিগ্রেটেড ওয়াটার হার্ভেস্টিং এন্ড প্লেস্কেপ ফ্যাসিলিটিজ ইন হিল ট্র্যাক্টস- কমেন্ডেশন পেয়েছে।
একই সময়, বার্জার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনকে স্থাপত্য- ক্ষেত্রে উতকর্ষ এবং অবদানের আজীবন স্বীকৃতি হিসেবে মরনোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়। বিখ্যাত স্থপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজ বিশ্লেষক মোবাশ্বের হোসেন তার অসামান্য কাজের মাধ্যমে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও খ্যাতি অর্জন করেন।
এই বিষয়ে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের (বিপিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরী বলেন, “এ বছরের বার্জার পুরস্কারের মধ্যদিয়ে আমরা ২০ বছরের যাত্রা উদযাপন করছি। বার্জার অনেক বছর ধরেই দক্ষ এবং উদীয়মান স্থপতিদের অবদান ও প্রচেষ্টার স্বীকৃতিদানে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতেও বার্জার এই পুরস্কারের মাধ্যমে উৎকর্ষের স্বীকৃতি দিতে নিরলস কাজ করে যাবে।”
ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের (আইএবি) সভাপতি স্থপতি প্রফেসর ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ বলেন, “বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সেলেন্স ইন আর্কিটেকচার একমাত্র পুরস্কার যা স্থপতি এবং এ খাতের সঙ্গে জড়িত বাকিদের উৎসাহ দিতে প্রদান করা হচ্ছে। গত ২০ বছর ধরে এই খাতের সম্ভাবনাময় মেধা, ভালো এবং অসামান্য কাজে উৎসাহ জুগিয়ে যাচ্ছে এই পুরস্কার, যা ইতিমধ্যে মাইলফলকে পরিণত হয়েছে।”
উল্লেখ্য, স্থাপত্য খাতে অসামান্য কাজের স্বীকৃতি দিতে ইনস্টিটউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের (আইএবি) সহযোগিতায় বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সেলেন্স ইন আর্কিটেকচার (বিএইএ) প্রদান করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের স্থাপত্য পেশায় এটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার হিসেবেও স্বীকৃত। এই পুরস্কার দেশের স্থপতিদের সম্ভাবনার পরিসরকে সমৃদ্ধ করছে ও তাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করছে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।