দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রিউমাটয়েড আর্থরাইটিসকে অনেকেই শুধু হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা বলেও মনে করেন। তবে এই অসুখ কিন্তু তা নয়। এর কারণে হাড়ে ব্যথার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যাও হতে পারে। কোন উপসর্গ দেখে সাবধান হবেন?
এতোদিন বয়স্ক ব্যক্তিদের আর্থরাইটিসের ব্যথা কাবু করলেও বর্তমানে অল্পবয়সিদের শরীরে বাসা বাঁধছে এই রোগটি। দীর্ঘক্ষণ অফিসের চেয়ারে বসে কাজ করা, শরীরে ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন ডি’র ঘাটতি এই রোগ শরীরে আরও জাঁকিয়ে বসতে সাহায্য করছে। আপাতভাবে রিউমাটয়েড আর্থরাইটিসকে অনেকেই শুধু হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা বলে মনে করে থাকেন। তবে এই অসুখ কিন্তু শুধু তা নয়। এর কারণে হাড়ে ব্যথার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যাও হতে পারে।
রিউমাটয়েড আর্থরাইটিস হলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাও তখন কমে যায়। এই রোগের জেরে হাড়ে প্রদাহ এবং ব্যথাও বাড়ে। তখন হাত, কব্জি ও পায়ে যন্ত্রণা হতে থাকে। তবে রোগ অতিরিক্ত পর্যায় পৌঁছালে চোখ, ত্বক, ফুসফুস, হৃদযন্ত্র এবং রক্তনালিতেও সমস্যা হতে পারে। এই অসুখ কখনও রাতারাতি কমিয়ে ফেলা যায় না। তবে দ্রুত ধরা পড়লে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে সমস্যাগুলো। তবে সেজন্য চিনতে হবে এই রোগের উপসর্গ।
কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন
# অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করা, খাওয়ার ইচ্ছে কমে যাওয়ার অর্থই কিন্তু করোনা কিংবা ক্যান্সার নয়। অন্য অসুখেরও ইঙ্গিত বহন করে এই সমস্যা। যারমধ্যে রয়েছে রিউমাটয়েড আর্থরাইটিস।
# শরীরের ভিতরে নানা রোগও জমে থাকতে পারে। আর তখন জানান দেয় জ্বর। মাঝে-মধ্যেই বিনা কারণে জ্বর এলে, কিংবা ভিতরে ভিতরে জ্বরজ্বর ভাব থাকলে সাবধান হওয়া ভালো। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে যাতে রিউমাটয়েড আর্থরাইটিস শরীরে বাসা বাঁধল নাকি সেটি নিশ্চিত হতে হবে।
# হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া এই রোগের একটি লক্ষণ। হাত ও পায়ের জোরও কমে যেতে পারে এর কারণে। কোনও কিছু ধরতে গেলে সমস্যা হলেও সাবধান হতে হবে।
# অনেক সময়ই হাত-পায়ে টানা ব্যথা লেগে থাকে? তবুও সতর্ক হওয়াটা জরুরি। রিউমাটয়েড আর্থরাইটিস অর্থই যে প্রচণ্ড ব্যথা হবে, এমনটি কিন্তু নয়। অনেক সময়ই এই অসুখ শুরু হয় কম ব্যথা দিয়ে। যে কারণে শুরুতেই সচেতন হওয়াটা জরুরি। গাঁটে সংক্রমণ হলে সেই স্থান ফুলে গিয়ে অনেক সময় ব্যথা হয়।
# আবার, ওজন কমতে শুরু করলেও আপনাকে সতর্ক হতে হবে। খুব দ্রুত ওজন ঝরতে শুরু করলে তা-ও এই অসুখেরই ইঙ্গিতই বহন করে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।