দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য বাজারে পুষ্টিবর্ধক পানীয় পাওয়া যায়। পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, সেগুলো আদৌতেও কার্যকরী নয়। বরং এমন কিছু খাবার খাওয়াতে হবে যেগুলো শিশুর বুদ্ধির বিকাশে সাহায্য করে। সেজন্য পুষ্টি এবং বুদ্ধিমত্তার বিকাশে শিশুকে খাওয়াতে হবে স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার।
আমরা জানি চিপ্স, আইসক্রিম, পিৎজ়া, বার্গার হলো বাচ্চাদের সবচেয়ে পছন্দের খাবার। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পাতে যদি এইসব খাবারগুলোই থাকে, এতে খুশি হয় শিশুরা। থবে শিশুরা এই সব খাবার পেলে যতোই খুশি হোক, তাদের শরীর-স্বাস্থ্য খুব বেশি দিন খুশি থাকতে পারে না। শিশুর বুদ্ধির বিকাশে সাহায্য করে এমন কিছু খাবারের তালিকা প্রকাশ করা হলো।
বেরি
সাধারণ ব্লুবেরি, স্ট্রবেরিজাতীয় ফলে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড স্মৃতিশক্তি প্রখর করে তুলতে সাহায্য করে। যে কারণে বাড়ন্ত বয়সে এই ধরনের ফল বেশি করে খাওয়াতে হবে শিশুদের। বেরি মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও প্রদাহজনিত সমস্যা থেকেও দূরে রাখে।
ডিম
ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনসহ অন্যান্য জরুরি উপাদানও রয়েছে। সুষম খাদ্য হিসাবেও ডিমের জনপ্রিয়তা রয়েছে। বিশেষ করে ডিমে রয়েছে ‘কোলিন’ নামে একটি উপাদান। এই কোলিন মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। অপরদিকে, দুধ এবং দু্গ্ধজাত খাদ্যে থাকে ভিটামিন ডি। এই ভিটামিন স্নায়ুকোষের আয়ু আরও বাড়িয়ে তোলে।
রঙিন সব্জি
বাজারে রঙিন সব্জির অভাব নেই। টোম্যাটো, রাঙা আলু, কুমড়ো এবং গাজরে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড জাতীয় উপাদান। ক্যারোটিনয়েড মস্তিষ্কের স্নায়ু ভালো রাখতেও সাহায্য করে। বিশেষ করে চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ক্যারোটিনয়েডের জুড়ি নেই। প্রতিটি রঙিন সব্জিতেই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। যা মস্তিষ্কের কোষ বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তাও করে। তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের শাকও খাওয়াতে পারেন আপনার শিশুকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org