দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফ্রিজে থাকা মাত্র কয়েক টুকরো বরফেই ত্বকের নানা সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। বরফের ছোঁয়ায় ত্বকের ক্লান্তি যেমন দূর হয় সেইসঙ্গে জেল্লাও ফেরে। তাহলে কীভাবে ব্যবহার করবেন বরফের টুকরো?
আমরা রূপচর্চার জন্য নানা রকম ক্রিম ব্যবহার করি। সেইসব ক্রিমে থাকা রাসায়নিকের কারণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ঘরোয়া উপায়ের উপর ভরসা রাখাই উত্তম। আপনার হাতের কাছেই রয়েছে এমন বেশ কিছু সামগ্রী, যা ব্যবহার করতে পৃথক করে ঘরোয়া টোটকা বানানোর মতো কোনও সময় লাগবে না। জেল্লাও ফিরবে আবার ত্বকের ক্ষতিও হবে না।
আজ জেনে নিন কীভাবে ব্যবহার করবেন বরফের টুকরো।
গ্রিন টি বরফ
গরম পানিতে দু’টি গ্রিন টি-ব্যাগ ডুবিয়ে রেখে চা বানিয়ে নিন। এরপর ঠাণ্ডা হয়ে গেলে বরফ জমানোর ট্রেতে ঢেলে জমিয়ে নিন। রোদ থেকে বাড়ি ফিরেই প্রতিদিন আপনি এটি মুখে লাগাতে পারেন। বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতে গ্রিন-টি খুবই উপকারী একটি জিনিস।
কফির বরফ
কফি বানিয়ে সেটি ঠাণ্ডা করে বরফ জমিয়ে রাখুন। ত্বকে জমে থাকা নোংরা টেনে বের করার ক্ষমতা রয়েছে এই কফিতে। এতে করে আপনার ত্বক টানটানও হবে দ্রুত সময়ের মধ্যে।
অ্যালোভেরা-তুলসীর বরফ
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা আদর্শ ময়েশ্চারাইজার। ব্রণের সমস্যা দূর করতে তুলসীপাতার গুণাগুণ অনেক। ২-৩ পাতা বেটে অ্যালোভেরার রসের সঙ্গে মিশিয়ে বরফ বানিয়ে রাখতে হবে। সপ্তাহে ৩-৪ দিন এই বরফ মুখে ব্যবহার করতে হবে, তাতে উপকার পাবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org