দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বরফের একটি অংশ নিপূণভাবে বর্গক্ষেত্রের আদলে কেটে নিয়েছিলেন। এরপর নীচের পানিতে নেমেছিলেন আদুর গায়ে। শুধুমাত্র একটি সুইমিং ট্রাঙ্ক ওচশমা পরে। কিন্তু বরফের নীচে সাঁতার কাটতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন ওই সাঁতারু!
উপরে রয়েছে বরফের চাদর। নীচে টলটলে পানি তবে সেই পানি হিমঠাণ্ডা। শীতকালে ঠাণ্ডার দেশে হ্রদের পানির উপরের অংশ আকছার ঠিক এভাবেই জমে যায়। এই ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। সেই বরফ জমা হ্রদেই সাঁতার কাটার শখ হয় জনৈক সাঁতারুর।
বরফের একটি অংশ নিপূণ বর্গক্ষেত্রের আদলে কেটে নেন তিনি। এরপর নীচের পানিতে নেমেছিলেন আদুর গায়ে। শুধুমাত্র একটি সুইমিং ট্রাঙ্ক ও চশমা পরে। ঠিক ছিল ওখান থেকে ডুব সাঁতার দিয়ে বরফের নীচ দিয়ে খানিকটা এলাকা পেরিয়ে তারপর তিনি উঠবেন অন্য একটি গর্ত দিয়ে। তবে বরফের নীচে হিমশীতল পানিতে মাঝ রাস্তাতেই পথ হারালেন ওই সাঁতারু।
বরফের নীচে ঠাণ্ডা পানি। তাই যখন তখন মাথা উঁচিয়ে শ্বাস নেওয়াটা প্রায় অসম্ভব। মাথা তুলতে গেলেই পৌঁছাতে হবে বরফ কাটা গর্তের নীচে। তবে সাঁতারু যে পথই হারিয়ে ফেলেছেন সেখানে পৌঁছাবেন কীভাবে?
আতঙ্কের সেই মুহূর্তটি ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। সাঁতারুকে বাঁচাতে তখন ছোটাছুটি শুরু হয়েছেন তাঁর সঙ্গীরা। হ্রদের উপরে জমা মোটা বরফের চাদর ভাঙার চেষ্টা শুরু করেন তারা। তবে বরফ ভাঙা কিন্তু অতো সোজা নয়। এদিকে পানির নীচে দম বন্ধ করে রেখেছেন সাঁতারু। কতোক্ষণই বা তা করতে পারবেন তিনি।
শেষটায় রণে ভঙ্গ দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেন সাঁতারু কোমরে দড়ি বাঁধাই ছিল সেই দড়ি ধরেই পিছিয়ে আসেন আগের জায়গায়। পানি থেকে মাথা তুলে তবে দম নিয়ে বাঁচেন তিনি। সেই ভিডিটি ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org