দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ম্যালওয়ারের আরও একটি নতুন সংস্ককরণের খবর এবার সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে। এবার জানা গেছে, এই ভাইরাসের মাধ্যমে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ফেস আনলক নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব!
এমনই একটি অ্যান্ড্রয়েড ম্যালওয়্যার সম্প্রতি আপগ্রেড করলো হ্যাকাররা। এই ম্যালওয়ার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ফেস আনলক নিষ্ক্রিয় করে ডিভাইসের পিন চুরি করতেও সক্ষম। ক্যামেলিয়ন ব্যাংকিং ট্রোজান নামে ভাইরাসটির নতুন সংস্করণ অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে বলে একটি প্রতিবেদনে জানায় প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ব্লিপিং কম্পিউটার। এই ভাইরাসটি সংক্রমিত ডিভাইস থেকে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের ডেটাসহ ব্যক্তিগত সব তথ্য চুরি করে।
সরকারি সংস্থা, ব্যাংক এবং ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের ছদ্মবেশ ধারণ করে এই বছরের শুরুর দিকে ভাইরাসটির আক্রমণ দেখা যায়। ক্যামিলিয়ন ব্যবহার করে জনপ্রিয় অ্যাপগুলোর মাধ্যমে ফোনগুলোর কুকিজ এবং টেক্সট মেসেজ চুরি করে নেয় হ্যাকাররা। সেখান থেকেই ডিভাইসের পিন নম্বর সংগ্রহের মাধ্যমে সংবেদনশীল তথ্য ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং অন্যান্য আর্থিক অ্যাপগুলো থেকে অর্থ চুরিও করতে পারে।
অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ক ওয়েবসাইট থ্রেটফ্রেবিকের মনে করে, ক্যামেলিয়ন ম্যালওয়্যার কিংবা ভাইরাসটি জোম্বিন্ডার সার্ভিসের ওপর ভিত্তি করেই কাজ করে। তাই এগুলো শনাক্ত করাও যায় না। এটি গুগল ক্রোমের ছদ্মবেশ ধারণ করে থাকে। ‘জোম্বিন্ডার’ নামে একটি ডার্ক নেট প্ল্যাটফর্মটি বৈধ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপে ক্ষতিকর কোডও যোগ করতে পারে। এটির মাধ্যমে তুলনামূলক দূর্বল নিরাপত্তার অ্যাপগুলোতে মোটেও ভাইরাস শনাক্ত হয় না। হ্যাকাররা গুগল প্লে প্রটেক্ট এবং সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্টিভাইরাসগুলোর মধ্যেও ক্ষতিকর কোড বাইপাস করতে পারে।
সংক্রামিত অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট কিংবা ফেস আনলকের মতো বায়োমেট্রিক্সের ব্যবহারকেও বাধা দিতে পারে নতুন সংস্করণের ক্যামেলিয়ন ব্যাংকিং ট্রোজান! তথ্যসূত্র: গ্যাজেট ৩৬০
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org