দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বীমা সুবিধার আওতায় আসলো এগ্রি-ফিনটেক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান আইফার্মার লিমিটেড-এর স্থায়ী এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মী এবং তাদের পরিবার।
যে কারণে আইফার্মারের স্থায়ী কর্মী, তাদের স্ত্রী বা স্বামী/একজন সন্তান ও অনুর্দ্ধ ৬৯ বয়সী বাবা মায়ের বীমাচুক্তি অনুযায়ী চিকিৎসা খরচ সুবিধা পাবেন। চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স এই সেবা প্রদান করবে।
সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে আইফার্মারের হেড অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স-এর সঙ্গে এ সম্পর্কিত একটি চুক্তি সই করে প্রতিষ্ঠানটি। চুক্তিতে সই করেন আইফার্মারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) ফাহাদ ইফাজ এবং চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহী (সিইও), এস এম জিয়াউল হক। এ সময় উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশের কৃষক এবং ক্ষুদ্র কৃষি-উদ্যোক্তাদের মত কৃষি পেশাজীবিদের কল্যাণে একাগ্রে কাজ করে চলেছে আইফার্মার। তাদের জীবন এবং জীবিকার উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা, পরামর্শ ও বীমা সুবিধার মতো নানা সহযোগিতা দিয়ে থাকে আইফার্মার, পাশাপাশি বাজারে কৃষকদের অবস্থানকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলতেও প্রতিষ্ঠানটি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিগত বছরগুলোতে কৃষি পেশাজীবিদের কল্যাণে আইফার্মারের বিভিন্ন কার্যক্রম ইতিবাচক ফলাফল বয়ে এনেছে। একইসঙ্গে, প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের কর্মীদের সার্বিক কল্যাণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রেও বরাবরই গুরুত্ব দিয়ে এসেছে, যার ধারাবাহিকতায় এবার চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাথে যুক্ত হয়েছে আইফার্মার।
এ সম্পর্কে আইফার্মারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) ফাহাদ ইফাজ বলেন, “আমরা আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যপরিকল্পনা গ্রহণের সময় সর্বোচ্চ অন্তর্ভুক্তি এবং সার্বিক স্বার্থরক্ষা নিশ্চিত করে থাকি। আমরা চাই যেনো প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক কর্মী নিজেদেরকে একটি পরিবারের অংশ মনে করেন। আইফার্মারের স্থায়ী এবং অস্থায়ী সকল কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা বীমা সুবিধা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি বাস্তবায়নে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মতো অংশীদার পেয়ে আমরা খুবই সন্তুষ্ট”।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org