দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে মেয়োনিজের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনিসিলভেনিয়ার লেহাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন গবেষক। আর এতে এক বিস্ময়কর তথ্য উঠে এসেছে এই গবেষণায়।
এনডিটিভির এক খবরে জানা যায়, মেয়োনিজের গঠন ও প্রায়োগিক দিক বিবেচনায় নিয়ে এটিকে নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়ায় প্লাজমার জটিল আচরণ বোঝার জন্য মডেল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে তারা জানান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লেহাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেকানিক্সের অধ্যাপক অরিন্দম ব্যানার্জি বলেন, আমরা এখনও ফিউশন ক্যাপসুলের গাঠনিক ইন্টেগ্রিটি ওএবং ইনার্শিয়া কনফাইনমেন্ট ফিউশন নিয়েই কাজ করছি। এই গবেষণায় হেলম্যান’র রিয়াল মেয়োনিজ আমাদের সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে সহায়তা করছে।
গবেষক দলটি ইতিমধ্যে জানিয়েছে যে, মেয়োনিজ সাধারণ অবস্থায় কঠিন পদার্থ হিসেবে বিবেচনা করা হলেও নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এটি তরলধর্মী বৈশিষ্ট্য দেখায়। মেয়োনিজের এই বৈশিষ্ট্যটি ফিউশন বিক্রিয়ার প্লাজমার বৈশিষ্ট্যের সঙ্গেও সাদৃশ্যপূর্ণ।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, লেহাই বিশ্ববিদ্যালয় সহজ ভাষায় নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়ার ব্যাখ্যাও দিয়েছে। নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া প্রধানত: নিউক্লিয়ার ফিশন ও নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়াতে ভাগ করা যায়। মূলত সূর্যে যে বিক্রিয়াটি আসলে সংগঠিত হয়, সেটিই হলো ফিউশন বিক্রিয়া। ফিউশন বিক্রিয়ায় প্রচুর শক্তি উৎপন্ন হয়। পৃথিবীতে যদি কোনোভাবে ফিউশন বিক্রিয়া ঘটানো যায়, তাহলে তা সীমাহীন শক্তির উৎস হিসেবে মানব সম্প্রদায়কে শক্তির যোগান দিয়ে যেতে পারে। তবে সূর্যের অবস্থার অনুরূপ পৃথিবীতে তৈরি করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন গবেষকরা। গবেষক দলটির প্রধান কাজই হলো এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা। আর এই লক্ষ্যে তারা নানা আঙ্গিকে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন
ইতিপূর্বে, ২০১৯ সাল হতে এই গবেষক দলটি মেয়োনিজকে নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়া বোঝার মডেল হিসেবে ব্যবহার করে কাজ করে আসছেন। তাদের এই গবেষণা নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস সন্ধানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই বছর তাদের একটি গবেষণাপত্রও প্রকাশিত হয়েছিলো।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org