দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুষ্টিকর খাবার খেলে তবেই দ্রুত ওজন ঝরানো যাবে। ভুঁড়ির ক্ষেত্রেও বিষয়টি কিন্তু একই। বরং পেটের মেদ কমাতে কিছু খাবার একসঙ্গেও খেতে হবে। তাহলে সুফল পাওয়া যেতে পারে।
পেটের মেদ ঝরাতে অনেকেই সবার আগে খাওয়া-দাওয়ায় রাশ টানেন। রোগা হওয়ার যদি তাড়া থাকেই, তাহলে কী প্রায় দিনই উপবাস? এখানেই আপত্তি তুলেছেন পুষ্টিবিদরা। তাদের মতে, না খেয়ে থেকে ওজন কমানোও সম্ভব নয়। বরং পরিমিত পরিমাণে ও সময় মেপে পুষ্টিকর খাবার খেলে তাহলে দ্রুত ওজন ঝরানো যাবে। ভুঁড়ির ক্ষেত্রেও বিষয়টি একই রকম। বরং পেটের মেদ কমাতে কিছু খাবার একসঙ্গে খেতেই হবে। তাহলে সুফল পেতে পারেন।
গ্রিন টি ও বাদাম
সন্ধ্যার সময় গ্রিন টি’র সঙ্গে খেতে পারেন কিছু বাদাম। গ্রিন টি হলো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ, যা বিপাকক্রিয়াতেও সাহায্য করে। বাদামে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিন, ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এগুলো একসঙ্গে খেলে মধ্যপ্রদেশ (পেটের ভুড়ি) মাত্র কয়েক দিনেই কমে যাবে।
মুগ ডাল ও পালং শাক
মেদ ঝরাতে যে কোনও ডাল খুবই উপকারী একটি জিনিস। তবে এইক্ষেত্রে ডাল হিসাবে মুগ ডাল বেশি কার্যকরী। এই ডালে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিনের মতো স্বাস্থ্যকর উপাদানও। এই ডালটির সঙ্গে যদি খান মিনারেলসে ভরপুরে পালংশাক, তাহলে পেটের মেদ ঝরিয়ে দিতেও সাহায্য করে। ভুঁড়ি কমাতে চাইলে মুগ ডালের সঙ্গে পালংয়ের জুটিতেও ভরসা রাখতে পারেন।
ডালিয়া ও শাকসব্জি
নানা ধরনের শাকসব্জি দিয়ে ডালিয়ার খিচুড়ি রাঁধুন। স্বাদ ও স্বাস্থ্যগুণ দু’ক্ষেত্রেই অনন্য এই খাবারটি। ডালিয়ায় রয়েছে প্রোটিন ও ফাইবার। শরীরের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে দিতে এই খাবারটি সত্যিই অসাধারণ বলা যায়। ওজন কমাতে শাক-সব্জির ভূমিকা বলায় বাহুল্য। ডালিয়ার খিচুড়ি হজম এই ক্ষেত্রে বেশ সহায়ক। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org