দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুলিশকে টার্গেট করার ঘটনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু পর থেকেই শুরু হয়েছে। তবে মাঝে একটু কমে আসলেও আবারও সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গত এক সপ্তাহে দুই পুলিশকে প্রাণ দিতে হলো। রাজধানীর বাংলা মোটরে ১ জন ও রাজশাহীতে গতকাল ১ পুলিশের মৃত্যু ঘটেছে।
গতকাল রাজশাহীতে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। সরাসরি পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপ করায় গতকাল দুপুরের ওই ঘটনায় মারাত্মক আহত হয় ৯ পুলিশ। রাজশাহীতে পুলিশের ওপর বোমা হামলায় আহতদের মধ্যে ৯ জনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁরা হলেন কনস্টেবল তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ (২৫), সিদ্ধার্থ (২৫), আনন্দ কুমার (২৫), আসাদুজ্জামান আসাদ (২৬), আব্দুল মজিদ (২৬), শাহরিয়ার আলম (২৫), রায়হানুল আলম রায়হান (২৬), সোহেল (২৪) ও রাফি (২৬)। কনস্টেবল সিদ্ধার্থকে সন্ধ্যায় ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান। অপর দুই কনস্টেবল তৌহিদ ও আনন্দ’র অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
ভর্তির পর রামেক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক খন্দকার নাফিজ রহমান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আহতদের মধ্যে সিদ্ধার্থের ফুসফুসের ভেতর রক্ত জমে আছে। বোমার আঘাতে তার পাঁজরের বাঁ পাশে মারাত্মক ক্ষত হয়েছে। এতে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাঁর শরীরে ১২ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে। আনন্দর মাথায় ও তৌহিদের ডান চোখের ভেতরে বোমার স্পিন্টার থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিদ্ধার্থ ও আনন্দকে ঢাকায় পাঠানোর জন্য বলা হয়। পরে সিএনএইচ এ সিদ্ধার্থের মৃত্যু ঘটে।
অপরদিকে অবরোধ কর্মসূচি ছাড়ায় ২৪ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর বাংলা মোটরে ৩ পুলিশসহ একটি মিনিবাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করলে ফেরদৌস খলিল নামে এক পুলিশ জীবন্ত দগ্ধ হয়ে নিহত হয়। একের পর এক নির্মমসব ঘটনা ঘটাচ্ছে জামায়াত-শিবির। পুলিশকে বার বার টার্গেট করা হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর পর থেকেই এমন ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। এসব ঘটনায় তেমন কেও গ্রেফতার হয়েছে এমনও শোনা যায়নি। যদি আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদেরই এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? এমন প্রশ্ন এখন জনসাধারণের।