দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মঙ্গলবার দুই দিনব্যাপী শুরু হওয়া গণভোটের প্রথম দিনে সহিংসতায় মিসরজুড়ে নিহত হয়েছে অন্তত ১১ জন।
মুসলিম ব্রাদারহুডসহ বেশকিছু রাজনৈতিক দল এই ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। ব্রাদারগুড বলছে, এই গণভোট সংবিধান পরিপন্থী। নির্বাচনের জন্য মিসরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে অন্তত সাড়ে ৩ লাখ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
২০১৩ সালের জুলাইয়ে সেনাবাহিনী মিসরের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য প্রথমবারের মতো এই গণভোট নেয়া হচ্ছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে রাজধানী কায়রোর পশ্চিম তীরের পার্শ্ববর্তী ইমবাবা নামক শহরের প্রধান আদালত ভবনের সামনে বিকট শব্দে একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই বিস্ফোরণে কেও হতাহত না হলেও স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে তা আতঙ্কের সৃষ্টি করে।
অপরদিকে মিসরের উত্তরাঞ্চলীয় শহর সোহাগে পুলিশের সঙ্গে মুসলিম ব্রাদারহুড কর্মীদের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪ জন নিহত হয়। কায়রোর গিজা জেলা ও দক্ষিণে অবস্থিত বানি সুয়েক এলাকায় সংঘর্ষে ১ জন করে ২ জন, কায়রোর কারদাসা এলাকায় মুরসি সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে আরও ৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়।
উল্লেখ্য, দেশটির নতুন এই সংবিধান ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি সরকারের পাসকৃত পুরনো সংবিধানের স্থলে চালু করার জন্য এই গণভোটের আয়োজন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর হাতে গত বছরের মাঝামাঝি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কয়েক মাস আগে মুরসি সরকার ওই সংবিধান জারি করেছিল। তবে নতুন এই সংবিধান পাস করতে গেলে বর্তমান সেনা সরকারকে গণভোটে অবশ্যই শক্তিশালী ‘হ্যাঁ’ সূচক ভোট পেতে হবে।