দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মুরসিকে উৎখাত করার বৈধতা পাবে কি না সে বিষয়ে ‘হ্যাঁ’ ‘না’ ভোট চলছে মিশরে। আজকের এই নির্বাচনেই মূলত নির্ধারিত হবে মুরসিকে উৎখাত করার বিষয়টি ন্যায্যতা নিয়ে। অন্তর্র্বতী সরকারের নতুন প্রণীত সংবিধানকে বৈধতা দিতেই গণভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, মিসরে খসড়া সংবিধানের ওপর দুই দিনব্যাপী গণভোট শুরু হয়েছে আজ। সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে উৎখাত করার বিষয়টি ন্যায্যতা পায় কি না, সেটিও পরোক্ষভাবে এ নির্বাচনের ফলের ওপর নির্ভর করছে বলে জানা গেছে।
বিবিসিসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, দেশটিতে ক্ষমতাসীন সেনাবাহিনী চাইছে, নতুন সংবিধানের পক্ষে বিপুল ‘হ্যাঁ ভোট’ পড়ুক, যাতে মোহাম্মদ মুরসিকে অপসারণের কাজটি ন্যায্যতা পায়।
অপরদিকে বলা হয়েছে, নতুন সংবিধান অনুমোদিত না হলে দেশটিতে খুব শীঘ্রই নতুন নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে।
সংবাদ মাধ্যম বলছে, মুসলিম ব্রাদারহুড নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছে এবং সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করছে সরকার। কোনো দল বা গোষ্ঠী যাতে নির্বাচন বানচাল করতে না পারে, সে জন্য অন্তর্র্বতী সরকার কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিতের চেষ্টা করছে।
এদিকে গত কয়েক দিনে এ পর্যন্ত নির্বাচনসংক্রান্ত সহিংসতায় অন্তত ৫ ব্যক্তি নিহত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নির্বাচনবিরোধীদের সংঘাতে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। আজও নির্বাচন শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে কায়রোর ইমবাবা এলাকায় বড় ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, তবে এতে কোন প্রাণহানি ঘটেনি।
উল্লেখ্য, মিসরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে গত বছরের ৩ জুলাই ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র এক বছরের মাথায় সেনাবাহিনী ক্ষমতাচ্যুত করে। ক্ষমতা হারানোর কয়েক মাস আগে ইসলামপন্থী মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মুরসি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন। তবে তাঁকে অপসারণের পর অন্তর্র্বতী সরকার নতুন করে সংবিধান প্রণয়ন করে। আজ এই নতুন সংবিধানকে বৈধতা দিতেই গণভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।