দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেকেই ভুত-পেতে বিশ্বাস করি। কিন্তু অশরীরী আত্মা বা ভূত বলে কিছু কি রয়েছে? তাহলে ভাবুন ছবিতে তরুণীর কাঁধে ভৌতিক ওই হাতটি কার!
এমন বিশ্বাস-বিশ্বাসীর দ্বন্দ্ব কোনওদিন মিটে যাওয়ার নয়। ইতিমধ্যেই বিতর্ককে উস্কে দিল প্রায় একশো বছরেরও বেশি আগে তোলা এই ছবি। ছবিটি সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে পুরনো সংগ্রহশালা হতে। ছবিটি প্রকাশিত হয়েছে ইন্টারনেটে।
ছবিটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বময়। অনেকেই মনে করছেন, এই ছবিটি পৃথিবীতে অশরীরী আত্মাদের বিচরণের প্রত্যক্ষ প্রমাণ বলা যাবে। এই ছবিটির ইতিহাস কী?
১৯০০ সালে উত্তর আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্ট শহরের একটি লিনেন মিলে এই ছবিটি তোলা হয়। সাদাকালো ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে যে, হাসিমুখে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ১৫ তরুণী, যাঁরা প্রত্যেকেই ওই মিলটির তৎকালীন কর্মী। তবে ভালো করে ছবিটি দেখলে বোঝা যাবে এক তরুণীর ঘাড়ের ওপর একটি হাত। আসলে ওই হাতটি কোথায় থেকে এলো? এই প্রশ্ন আসতেই পারে। আসলে এটি কার হাত হতে পারে? মেয়েটির কোনও সহকর্মীর হাত? ছবিতে দেখা যাচ্ছে তাঁরা তো সকলেই হাত গুটিয়ে রয়েছেন। তাহলে এই হাতটি কার?
এভাবেই দানা বাঁধছে সন্দেহ। প্যারানর্মালবাদীরা বলছেন যে, এই হাতটি কোনও আত্মার না হয়ে যায় না! কোনও কারণে সেই সময় হয়তো শরীরী রূপ ধরে মেয়েটির কাঁধে হাত রেখেছিল কোনও অশরীরী আত্মা। তবে এই ছবিটিকে ‘এডিটেড’ বলে দাবি করে এই সন্দেহকেও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এর একটিই কারণ হলো ১৯০০ সালে ফোটোশপ জাতীয় কোনও ফোটো এডিটর আবিষ্কৃত হয়নি। তাহলে কি এটি সত্যিই পৃথিবীতে ভূতের অস্তিত্বের প্রমাণ বহন করে?
ছবিটির ভৌতিকতার পক্ষে কিংবা বিপক্ষে মত দেওয়ার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ছিলেন যাঁরা, ছবির সেই ১৫ জন তরুণী বা ছবিটির ফোটোগ্রাফার-কেওই বর্তমানে জীবিত নেই। কাজেই ক্রমশ ঘনিভূত হচ্ছে রহস্য। ওই হাত সত্যিই অশরীরী আত্মার, নাকি কেও মজা করে ছবি তোলার সময় মেয়েটির পিছনে লুকিয়ে হাত রেখেছিলেন তাঁর কাঁধে? সেই প্রশ্নের উত্তর বোধ করি কারই পছন্দ নাও হতে পারে। তাহলে কী এটি প্রশ্নই থেকে যাবে?