দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মিজান ও রিপন দুই ভাই। কমার্সে জিপিএ ৫ পেয়েছে বড় ভাই মিজান আর ৪.০০ পেয়েছে ছোট ভাই রিপন। মেধাবী এই দুই ভাই এখন অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তি হতে পারছে না!
রাজধানীর ভাষাণটেক উচ্চ বিদ্যালয় হতে এ বছর এসএসসিতে মিজান কমার্সে জিপিএ ৫ পেয়েছে। তারই ছোট ভাই রিপন পেয়েছে ৪.০০। কিন্তু মেধাবী এই দুই ভাই অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বেশ কয়েকটি কলেজে ভর্তি ফরম পূরণ করেছে। কিন্তু অর্থের অভাবে ভর্তি হওয়া প্রায় অনিশ্চিত।
মিজান ও রিপনের বাবা মিছির উদ্দিন একজন রিক্সা চালক। তাদের মা বকুলা বেগম বাড়ি বাড়ি কাজ করেন। দুই ভাই তিন বোন তারা। তাদের বড় দুই বোনের বিয়ে হয়েছে। একজনের কিশোরগঞ্জ অপরজন জামালপুরে। এদের ছোট বোন রুপা এই ভাষাণটেক স্কুলেই ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে।
ফিরোজা কালারের গেঞ্জি গায়ে বড় ভাই মিজানুর রহমান, তার পাশে ছোট ভাই রিপন
তাদের বাবা-মা এ পর্যন্ত অনেক কষ্ট করে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করাচ্ছেন। এক বেলা খেয়ে, এক বেলা না খেয়ে অনেক কষ্ট করে এই পর্যন্ত এনেছেন তাদের। অনেক কষ্টে ভর্তি ফরম পূরণ করেছেন বেশ কয়েকটি কলেজে। কিন্তু ভর্তির সময় যে অর্থের প্রয়োজন সে সামর্থ তাদের নেই।
মিজান ও রিপন এই দুই ভাই অত্যন্ত ধার্মিক। তারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। তারা ভাষাণটেকের বস্তিতে কুমিল্লা পট্টিতে বসবাস করেন। বস্তি এলাকায় বসবাস করলেও এলাকায় রয়েছে তাদের যথেষ্ট সুনাম। তাদের দেশের বাড়ি কিশোরগঞ্জ।
মায়ের সঙ্গে দুই ভাই
অত্যন্ত নরম স্বভাবের এই দুই ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয় দি ঢাকা টাইমস্ এর প্রতিবেদকের সঙ্গে। তারা জানান, পড়ালেখা করে তাদের বাবা-মায়ের দু:খ কষ্ট দূর করতে চান। সমাজের আর দশ জন মানুষের মতো মানুষ হয়ে এই সমাজে তারা জায়গা করে নিতে চান। এক কথায় তারা দেশের সুনাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চান।
এই গরীব মেধাবী দুই ভাইয়ের পড়ালেখা চালানোর জন্য এই সমাজে কি কোনো বিত্তবান নেই? এই অসহায় পরিবার সমাজের বিত্তবানদের কাছে পড়ালেখার জন্য সাহায্যের আবেদন করেছেন। এই গরীব মেধাবী দুই ভাইয়ের ভর্তির জন্য যারা সহযোগিতা করতে চান তারা মিজান ও রিপনের ভগ্নিপতি শফিকের নিম্নোক্ত বিকাশ নাম্বারে বিকাশ করতে পারেন। প্রয়োজনে ওই নাম্বারে ফোন করে তথ্যও নিতে পারেন।