দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় ইইউ পার্লামেন্টে বাংলাদেশের প্রশংসা করে একটি প্রস্তাব গ্রহীত হয়েছে।
মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের শিকার এবং পালিয়ে আসা বিশাল রোহিঙ্গাদের জনস্রোত সামলানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানবিক পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট।
গত বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইইউ পার্লামেন্ট অধিবেশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে, এই মানবিক বিপর্যয়ের মুখে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সুরক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি দিচ্ছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট।
এছাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ঢুকতে দিতে প্রতিবেশী অন্যান্য দেশের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। তারা এসব শরণার্থীর জন্য আর্থিক এবং বস্তুগত সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে ইউরোপীয় কমিশন এবং ইইউভুক্ত দেশগুলোর প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোকে এটি পরিষ্কার করতে হবে যে, আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন অব্যাহত থাকলে তারা ব্যক্তিবর্গ এবং প্রতিষ্ঠানসমূহের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক অবরোধ আরোপের বিষয় বিবেচনা করতে প্রস্তুত।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ-ক্লদ জাঙ্কার বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের এই মানবিক সংকটকে ‘মর্মান্তিক বিপর্যয়’ আখ্যায়িত করে এর কঠোর নিন্দা জানান। এছাড়া ইউরোপীয় পার্লামেন্ট অবিলম্বে রোহিঙ্গা মুসলমানের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধেরও দাবি জানায়।
উল্লেখ্য, এই সংকটের কারণে প্রায় ৪ লাখ লোক মিয়ানমার হতে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এই সংকটের কারণে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরও জোরদার হচ্ছে।
এদিকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ ও তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো কর্মকাণ্ড খুব দ্রুত বন্ধে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাবে সামরিক এবং নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি জোরালো আহ্বান জানানো হয়।