দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে, রাতের ক্ষতের থেকে দিনের ক্ষত অতি তাড়াতাড়ি সারে! যুক্তরাজ্যের এমআরসি ল্যাবরেটরি অব মলিকুলার বায়োলজির একটি গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, রাতে তৈরি হওয়া কোনো ক্ষতের তুলনায় দিনের বেলায় তৈরি হওয়া ক্ষত অনেক তাড়াতাড়ি সেরে যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, রাতের বেলার পোড়া ক্ষত সারতে সময় লেগেছে গড়ে ২৮ দিন। অপরদিকে দিনের বেলায় এমন ক্ষত সারতে সময় লেগেছে মাত্র ১৭ দিন।
যুক্তরাজ্যের এমআরসি ল্যাবরেটরি অব মলিকুলার বায়োলজির এক দল গবেষক বলেছেন, ১১৮ জন দগ্ধ রোগীর ওপর গবেষণা চালিয়ে তারা যে ভিন্নতা পেয়েছেন, তাতে তারা সত্যিই বিস্মিত হয়েছেন। এখানে বলা হচ্ছে যে, রাতের বেলা ও দিনের বেলায় আহত হওয়া মানুষদের মধ্যে আরোগ্য লাভের সময়কালের পার্থক্য গড়ে ১১ দিনের মতো।
গবেষকরা বলেছেন, প্রতিটি মানবকোষে ২৪-ঘণ্টার একটি চক্রে দেহ ঘড়ি যেভাবে কাজ করে থাকে, সেটির সঙ্গে মিলিয়ে এই ফলাফলটিকে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) বার্ন ইউনিটে ১১৮ জন রোগীর ওপর পরীক্ষা চালানোর পর গবেষণাটি সাইন্স ট্রান্সন্যাশনাল মেডিসিনে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়।
ল্যাবরেটরিতে বিশদ পরীক্ষায় দেখা যায় যে, একটি ২৪-ঘণ্টার প্যাটার্নে ফাইব্রোব্লাস্টস নামের ত্বকের কোষের কার্যক্ষমতার পরিবর্তন হয়ে থাকে। ফাইব্রোব্লাস্টস হলো দেহের মধ্যে থাকা প্রথম প্রতিক্রিয়াশীল উপাদান, যেগুলো ক্ষত সারাতে আঘাতের স্থানে দ্রুত ছুটে যায়। দিনের বেলায় তারা যথাযথভাবে প্রতিক্রিয়া দেখালেও, রাতের বেলা তাদের এই কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
এ বিষয়ে গবেষকদের একজন, ড. জন ও’নীল বলেছেন, “এটা একটা ১০০ মিটারের দৌড় প্রতিযোগিতার মতোই। যে দৌড়বিদ তার ট্র্যাকে দৌড় শুরুর ব্লকে সঠিক ভঙ্গিমায় অবস্থান নেয় ও ছোটার জন্য প্রস্তুত থাকে, সে সবসময় যে ব্যক্তি দাঁড়ানো অবস্থায় থেকে তারপর দৌড় শুরু করে, তাকেই পরাজিত করে।”
গবেষকরা মনে করছেন যে, তাদের এই গবেষণার ফলাফল অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে বিশেষ কাজে লাগাতে পারবেন। এর মাধ্যমে রোগীদের ক্ষেত্রে সঠিক মাত্রায় ওষুধ এবং থেরাপি নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।