দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৪ ফেব্রুয়ারি পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে বলে যে খবর ইতিপূর্বে বের হয়েছিল, তার পাল্টা খবর হলো, ৪ ফেব্রুয়ারি নাকি ধ্বংস হচ্ছে না পৃথিবী!
বিজ্ঞান মানুষকে অনেক কিছু দিয়েছে। কিন্তু এই বিজ্ঞানের দোহায় দিয়ে অনেক বিজ্ঞানী রয়েছেন যাঁরা মানুষকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করে আসছেন। যুগে যুগে এমনটি হয়ে আসছে। এবারও এমনই একটি বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশ পেয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সেই খবরের পাল্টা খবর এসেছে, আর সেটি হলো ৪ ফেব্রুয়ারি নাকি ধ্বংস হচ্ছে না পৃথিবী!
তখন খবরে বলা হয়েছিলো, ৪ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর ‘ডুমস ডে’! এই দিন ‘২০০২ এজে ১২৯’ নামে একটি গ্রহাণু ধেয়ে আসবে পৃথিবীর দিকে! এমন হেডলাইন তৈরি করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ‘ভীতিকার’ অবস্থা তৈরি করলেও মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পক্ষ হতে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পৃথিবীর সেঙ্গ কোনও রকম সংঘাত হচ্ছে না ওই গ্রহাণুর।
নাসা বলেছে, ৪ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর ‘কাছ’ দিয়ে বেরিয়ে যাবে ওই ‘এজে১২৯’ গ্রহাণুটি। তাদের হিসাব মতে, ওইদিন পৃথিবী হতে গ্রহাণুটির দূরত্বের ব্যবধান হবে ৪০ লাখ ২০ কিলোমিটার। অর্থাৎ পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যে যে দূরত্ব তার দশ গুণ দূর দিয়ে যাবে ওই গ্রহাণুটি। তবে বিজ্ঞানীদের নজর থাকবে ওই গ্রহাণুর উপর।
নাসা আরও বলেছে, গ্রহাণুটির আয়তন ০.৫ হতে ১.২ কিলোমিটার। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আরও বলেছেন, গ্রহাণুটি নাকি দেখতে একটি বহুতল বাড়ির মতো।
নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাবরেটরির সেন্টার ফর নিয়ার-আর্থ-অবজেক্ট স্টাডিজ-র ম্যানেজার পল কোডাস সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, ১৪ বছর ধরে ওই গ্রহাণুর উপর নজর রাখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট কক্ষপথেই চলমান রয়েছে এই গ্রহাণুটি।
পল কোডাস আরও বলেন, আমাদের গবেষণা অনুযায়ী ওই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর কোনও সংঘাতই হবে না। এমনকি আগামী ১০০ বছরেও ওই গ্রহাণু পৃথিবীর ধারে কাছে ঘেষবে না।