নিজে গোল করেছেন, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গোল করিয়েছেনও! দলের দুইটি গোলেই নিজের অবদান রেখে দেশের হয়ে নিজের শততম ম্যাচে ইতালিকে দারুণ এক জয় এনে দিয়েছেন মিডফিল্ডার আন্দ্রে পিরলো। অন্যদিকে মাঝমাঠে সমাতালে লড়ে গিয়েও ইতালি’র দিনে হেরে যেতে হয়েছে মেক্সিকোকে। আজ্জুরিদের বিপক্ষে একমাত্র পেনাল্টি ছাড়া আর কোনো আক্রমণ আনতে পারেনি মেক্সিকো।
প্রথমার্ধে ম্যাচে দাপট ধরে রেখেছিলো আজ্জুরিরাই। আন্দ্রে পিরলোর’র শততম ম্যাচ উপলক্ষ্যে যেনো উজ্জীবিত ছিলো তারা। হয়তো পিরলো’র জন্যই জয় গুরুত্বপূর্ণ ছিলো ইতালি’র কাছে! চিরাচরিত রক্ষণাত্মক বলে পরিচিত ইতালিকে এ ম্যাচে দেখা গেছে আক্রমনাত্মক রূপে। মাঝমাঠে দারূন লড়েছেন আন্দ্রে পিরলো। উরুগুয়েকে একাই ব্যস্ত রেখেছেন এই মিডফিল্ডার। ২৭ মিনিটে তিনিই প্রথম উরুগুয়ের গোলমুখ খুলেন। ২৫ ইয়ার্ড দূরত্ব থেকে পিরলোর মাঝমাঠ থেকে বাঁকানো ফ্রি কিকে বোকা বনে যান মেক্সিকোর গোলরক্ষক হোসে করোনা। শততম ম্যাচ এভাবেই স্মরণীয় করে রাখলেন এই মিডফিল্ডার।
তবে এ আনন্দ বেশীক্ষণ স্থায়ী হয়নি আজ্জুরিদের। মাত্র ৭ মিনিট পরে নিজেদের ডি বক্সে ফাউল করে বসেন আরেক ইতালিয়ান মিডফিল্ডার বারজাগলি। পেনাল্টি পেয়ে যায় মেক্সিকো। পেনাল্টি গোলে গোলরক্ষক বুফনকে পরাস্ত করেন মেক্সিকান স্ট্রাইকার জাভিয়ের হার্নান্দেজ। প্রথমার্ধ ১-১ গোলে শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করে উভয় দলই। ৫৬ মিনিটে আবারও আক্রমণের চেষ্টা করেন পিরলো। ফ্রি-কিকের মাধ্যমে পিরলো’র ছুঁড়ে দেয়া বল উরুগুইয়ান ডিফেন্ডার রদ্রিগেজ বাইরে পাঠিয়ে দেন। মজার ব্যাপার হলো কিছুক্ষণ পরেই বালোতেল্লির একটি আক্রমণও একইভাবে ঠেকিয়ে দেন রদ্রিগেজ।
৬০ মিনিটে উরুগুইয়ান ডি বক্সের ভেতর পড়ে গিয়ে বালোতেল্লি পেনাল্টির আবেদন করলে সেটা নাকোচ করে দেন রেফারি। তবে সুযোগের অপেক্ষায় থাকা বালোতেল্লি গোল করতে মিস করেননি ৭৮ মিনিটে। বলের দখল নিয়ে থাকা পিরলো চতুর এক পাস দেন বালোতেল্লিকে। এবারও বালতেল্লিকে ঠেকানোর চেষ্টা করেছেন সেই রদ্রিগেজ। কিন্তু রদ্রিগেজকে বোকা বানাতে এবার ভুল করেননি বালোতেল্লি। তার জোরালো শটে বল খুঁজে নেয় উরুগুইয়ান গোলপোষ্টের জাল, দলকে এনে দেন ২-১ গোলের জয়।
পরনের পোষাক খুলে গোল উদযাপন করায় কিছুক্ষণ পরেই বালোতেল্লিকে দেখতে হয় রেফারি’র হলুদ কার্ড। উরুগুইয়ান মিডফিল্ডারকে ধাক্কা দেয়ার অপরাধে ম্যাচ শেষ হবার কিছুক্ষণ আগে আরও একটি হলুদ কার্ড দেখতে হয় ইতালিয়ান মিডফিল্ডার ড্যানিয়েল ডি রসিকে। খেলা শেষ হয় নিরুত্তাপভাবে। ম্যাচের শেষদিকে আত্মসমর্পণই করে ফেলে মেক্সিকো। ইতালিকেও গোলের জন্য ব্যতিব্যস্ত হতে দেখা যায়নি। জয়ের ফলে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট পেয়ে গ্রুপ এ তে ব্রাজিলের সাথে শীর্ষে অবস্থান করছে ইতালি।