দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শিশুরা খেলনা নিয়ে খেলে। ছেলে শিশু হলে গাড়ি বা এই জাতীয় খেলনা আর যদি মেয়ে শিশু হয় তাহলে পুতুল বা এমন কিছু খেলনা নিয়ে খেলাধুলা করে। তবে এবার ব্যতিক্রমি খবর হলো এক শিশুর খেলার সাথী অজগর সাপ!
কোনো শিশুর খেলার সাথি হতে পারে সাপ তা কী কখনও ভাবা যায়? তবে এবার ঠিক তাই ঘটেছে। এক শিশুর খেলার সাথী অজগর সাপ! সাপের নাম শুনলে যেখানে মানুষের পিলে চমকে যায়, সেখানে ভয়ংকর এক অজগর সাপকেই নিজের খেলার সাথী বানিয়েছে এক শিশু! এমন কথা শুনে অবাক হওয়ারই কথা। এমন ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরে।
শিশু অ্যালিসার বয়স মাত্র ১৪ মাস। এই বয়সের একটি শিশুর সারাদিন কাটে নানা রকম খেলনার সামগ্রী নিয়েই। অ্যালিসাও তার বয়সী শিশুদের মতোই ব্যতিক্রম ছিল না। তারও দিন কেটেছে খেলেই। তবে আর দশটা শিশুর চেয়ে তার খেলার সঙ্গী একটু ভিন্ন। ১৩ ফুট লম্বা অজগর সাপের সঙ্গে খেলে বড় হয়েছে অ্যালিসা।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, অ্যালিসার বাবা জেমি গাউরিনো একজন পেশাদার সাপুড়ে। বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরেই। সাপ পোষাও তার শখ। সাপ যে মানুষের পোষা প্রাণী হতে পারে সেটি বোঝানোর জন্যই তিনি তার মেয়ের সঙ্গে সাপের খেলা করার দৃশ্যটি ধারণ করে তা ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। তাতেই চমকে উঠেছেন অনেকেই।
৬ বছর পূর্বের ঘটনাকে জানান দিতে, কিছুদিন পূর্বে জেমি তার ফেসবুক পাতায় ছবি ও ভিডিও দিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। অধিকাংশ মানুষ এই দৃশ্য দেখে ভয়ে শিউরে উঠেছেন। অনেকেই পোষা অজগর সাপ নিয়ে তাদের বাজে অভিজ্ঞতার কথাও কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করেছেন।
এই বিষয়ে জেমি স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, ‘সাপকে মানুষ যতোটা ক্ষতিকর ভাবে আসলে সাপ ততোটা ক্ষতিকর নয়। একটি কুকুরের চেয়েও সাপ মানুষের জন্য অনেক কম ক্ষতিকর। সাপও একটি চমৎকার পোষা প্রাণী হয়ে মানুষের ঘরে থাকতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন!