দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যাকে এক কথায় বলা যায় আজব কাণ্ড। শ্মশানে গিয়ে জেগে উঠলো লাশ। শুধু লাশের জেগে ওঠা নয়! একেবারে খাটিয়ার উপর উঠে বসলেন রেণুকাদেবী নামে ওই ‘মৃতদেহ’!
জনসমক্ষে এমন একটি ঘটনা ঘটলে হুলুস্থুল পড়ে যায় শ্মশান ঘাটে। লাশ উঠে বসতেই অনেকেই ভয়ে ছুট দেন, আর ‘মৃতদেহ’র পরিজনরা ভাবলেন- মিরাকেল ঘটেছে বুঝি! চিৎকার শুরু করে দেন- রেণুকা বেঁচে উঠেছে। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকতে শুরু করেন তারা।
চাঞ্চল্যকর এমন একটি ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হুগলির ত্রিবেণী ঘাটে। তবে এই ব্যস্ততা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়নি। খানিক পরেই আবার নেতিয়ে পড়লেন রেণুকা দেবী। তার আর সাড়া মেলেনি। অবশেষে চুল্লির আগুনে শেষ হয়ে যায় তার নশ্বর দেহটি। পরিজনদের পরিতাপ ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট থাকলো না।
ভারতের হুগলির ত্রিবেণীর বৈকুণ্ঠপুরের বাসিন্দা রেণুকা পাল। গত শনিবার সকালে কোলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। হাসপাতাল হতে দেহ রিলিজ করার পর তার দেহ আনা হয় ত্রিবেণীর ওই শ্মশান ঘাটে। ত্রিবেণী শ্মশানে যখন দেহ শায়িত ছিল, তখন `বেঁচে ওঠেন` রেণুকা। মিরাকেল ঘটেছে মনে করে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন আত্মীয়-পরিজনরা। তবে দু:খের বিষয় হলো সেই আনন্দের স্থায়ীত্ব বেশিক্ষণ ছিল না। নিমেষেই আবারও ফিরে আসে শোকের আবহ।