দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্হিবিশ্বের চাপের মুখে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান ঘোষণা করেছেন যে, কোনো অপরাধের বিচার না করে ছাড়া হবে না, সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার বিচার করা হবে।
বর্হিবিশ্বের প্রবল চাপের মুখে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান ঘোষণা করেছেন, কোনো অপরাধের বিচার না করে ছাড়া হবে না, সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার বিচার করা হবে।
সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যার পর তীব্র আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে থাকা সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান ওই ঘটনার বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন যে, কোনো অপরাধের বিচার না করে ছাড়া হবে না। গতকাল (সোমবার) সৌদির পার্লামেন্টে দেওয়া এক বার্ষিক ভাষণে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বাদশাহ সালমান তার ভাষণে জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও সৌদি আরবের বিচার ব্যবস্থার উপর তার আস্থা জানিয়ে বলেছেন যে, তার (খাশোগির) হত্যার ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে পারবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
তবে বাদশাহ তাঁর ভাষণে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, সৌদি যুবরাজের নেওয়া সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
তাঁর ভাষণের সময় যাকে নিয়ে সৌদি আরব আজ বিশ্বের কাছে বিতর্কের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, সেই যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানও বসা ছিলেন সামনের সারিতেই। তার পাশেই বসা ছিলেন সৌদির গ্র্যান্ড মুফতি।
এদিকে সৌদি যুবরাজই সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে ইতিমধ্যেই দাবি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ।
সৌদি আরবে যুবরাজ সালমানের প্রভাব বিশ্লেষণ করে সিআইএ বলেছে, এই ধরনের একটি হত্যাকাণ্ড তার অনুমতি ছাড়া কোনো অবস্থাতেই হতে পারে না।
ইতিপূর্বে তুরস্কের পক্ষ থেকেও বারবার এই হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ করা হয়ে আসছিলো।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে গিয়ে নিখোঁজ হন সৌদির আমেরিকা নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল খাশোগি। তুরস্ক সরকার দাবি করে আসছে তাদের কাছে জামাল খাশোগি হত্যার অডিও রেকর্ড রয়েছে। সেই অডিও রেকর্ড সৌদি কর্তৃপক্ষ ও যুক্তরাষ্ট্র দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমগুলো আগেই খবর দিয়েছে।
প্রথম দিকে হত্যার কথা স্বীকার না করলেও পরে সৌদি সরকার স্বীকার করে যে, কনস্যুলেটের ভেতরে ‘ধস্তাধস্তিতে’ সাংবাদিক জামাল খাশোগি নিহত হন। এই হত্যার দায়ে ১৮ জন অফিসারকে গ্রেফতার করে সৌদি সরকার।