দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীত কিংবা গরমে শিশুদের মাঝে মাঝেই ঠাণ্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে যায়। নাক বন্ধ হলে শিশুদের শ্বাস নিতে খুবই কষ্ট হয়। বড়দের এমন সমস্যা হলেই যত কষ্ট হয়, তাহলে বুঝুন বাচ্চাদের জন্য সমস্যাটি কতটা মারাত্মক। আজ আমরা জানবো শিশুর নাক বন্ধ হলে আমাদের যা করণীয়
১। ড্রপার ব্যবহারঃ
বন্ধ নাক ভাল করার জন্য ফার্মেসিতে ঠাণ্ডার বিভিন্ন ড্রপার কিনতে পাওয়া যায়। যখন বাচ্চাদের নাক বন্ধ হয়ে যাবে, তখন নাকের দুই ছিদ্রে এক ফোঁটা করে ওই ড্রপার দিয়ে দিন। দ্রুত নাক ক্লিয়ার হয়ে যাবে এবং স্বাভাবিক ভাবেই আবার শ্বাস নিতে পারবে। তাই আগে থেকেই ফার্মেসি থেকে নাকের ড্রপার কিনে ঘরে রাখুন।
২। পানি এবং লবণঃ
একটি পাত্রে ৪-৫ চা চামচ পানি এবং হাফ চা চামচ লবণ মিশিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এখন একটু ঠান্ডা করে অর্থাৎ হালকা গরম থাকা অবস্থায় শিশুর নাকের ছিদ্র দিয়ে কয়েক ফোঁটা ঢালুন এবং ভাল্ব সিরিঞ্জের সাহায্যে আবার সেই পানি বের করে নিন। এতে ওই পানির সাথে নাকে জমে থাকা শ্লেষ্মা বের হয়ে আসবে। ফলে শিশু স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারবে।
৩। ইউক্যালিটাস তেলঃ
ইউক্যালিটাস তেল বাচ্চাদের নাক বন্ধ সারাতে এবং বুকের কফ গলিয়ে বের করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। তাই বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগলে গোসল করানোর সময় গোসলের পানির মধ্যে ৫-৭ ফোঁটা ইউক্যালিটাস তেল দিয়ে মিশিয়ে নিন। তারপর ওই পানি দিয়ে গসল করান। গোসলের পর ভার্জিন অয়েলের সাথে ১০-১২ ফোঁটা ইউক্যালিটাস তেল মিশিয়ে বুকে মালিশ করুন। তাহলে নাকের এবং বুকের কফ গলে বের হয়ে আসবে।
৪। তুলসি পাতা এবং মধুঃ
জ্বর এবং ঠান্ডার জন্য তুলসি পাতার কদর সেই প্রাচীনকাল থেকে। বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগলে তুলসি পাতার রস এবং মধু মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে। এটি নাকের শ্লেষ্মা এবং বুকের কফকে গলিয়ে ঠান্ডা নিরাময় করতে সাহায্য করে।
৫। গরম পানির ভাপ দিনঃ
শিশুর নাক বা গলায় কফ জমলে একটি পাত্রে গরম পানি রাখুন এবং সেই গরম পানিতে এক টুকরো কাপড় ভিজিয়ে ভাল করে চিপে সেই গরম কাপড়ের ভাব বাচ্চার নাক এবং বুকে ভাপ দিন। তাহলে নাক বন্ধ ভাল হয়ে যাবে।
৬। রোদে রাখুনঃ
বাচ্চাদের নাক বন্ধ হয়ে গেলে তাদের পর্যাপ্ত সময় ধরে শরীরে রোদ লাগাতে হবে। রোদ নাক এবং বুকের শ্লেষ্মা দুর করে এবং ঠান্ডা দ্রুত ভাল হতে সাহায্য করে।
এছাড়া বাচ্চার ঠান্ডা লাগলে কখনো ঠান্ডা পানি পান করাবেন না। কুসুম কুসুম গরম পানির সাথে কিছুটা লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। এতে বাচ্চার ঠান্ডা দ্রুত ভাল হয়ে যাবে।