দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিসহ অনেক রকম লাইব্রেরি দেখেছি কিন্তু তাই বলে গাছের গায়ে লাইব্রেরি এমন কথা বোধহয় কখনও আমরা শুনিনি। এবার এমনই একটি আজব খবর হলো গাছের গায়েই তৈরি করা হয়েছে লাইব্রেরি!
বই পড়াকে উৎসাহিত করার জন্যই চালু হওয়া অনেক সংগঠনের একটি হলো ‘লিটল ফ্রি লাইব্রেরি’। বিশ্বজুড়ে খুদে সব লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করে এই সংগঠনটি। বর্তমানে ৮৮টি দেশে ৭৫ হাজার পাঠাগার তৈরি হয়েছে এই বেসরকারি সংস্থার সাহায্যের মাধ্যমে।
এই হাজার হাজার লাইব্রেরির মধ্যে কোনো কোনোটি বেশ বিচিত্র লাইব্রেরিও বটে। এগুলোর মধ্যে অন্যগুলোকে ছাড়িয়ে গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইডাহো অঙ্গরাজ্যের শার্লি হাওয়ার্ডের লাইব্রেরিটি।
দেখা যাচ্ছে বাড়ির সামনেই বিরাট একটা মরা শিমুল গাছ। ওই গাছ নিয়ে কী করবেন তা বুঝতে পারছিলেন না শার্লি। ১১০ বছর বয়সী এই গাছটিকে পুরোপুরি কেটে ফেলতেও মন সায় দিচ্ছিলো না তার। কাজেই গাছের গুঁড়িটা নিয়ে মেতে উঠলেন শার্লি নিজেই। যেহেতু তিনি একজন লাইব্রেরিয়ান ও শিল্পী মজার এক আইডিয়া চলে এলো তাঁর মাথায়। তাঁর পরিকল্পনা বস্তবায়নে সাহায্য করলো লিটল ফ্রি লাইব্রেরি।
গাছটির গুঁড়িটার ভেতরটা খুঁড়ে বর্তমানে বানানো হয়েছে এক পাঠাগার। যে কেও চাইলেই এই পাঠাগার হতে বই নিয়ে পড়তে পারবেন। ওপর দিকে একটা ছাউনিও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বই দিয়ে দারুণভাবে সাজানো হয়েছে গাছ-পাঠাগারের ভেতর ও বাইরের আলোক সজ্জা। এটি দেখে যে কেও চমকে উঠবেন- তাতে সন্দেহ নেই। এটিও ভাবতে পারেন রূপকথার জগৎ হতে হাজির হলো নাকি এমন আশ্চর্যজনক এই লাইব্রেরিটি! যে কেও এমনটি ভাবতেই পারেন।