দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০১৯ খৃস্টাব্দ, ১৫ চৈত্র ১৪২৫ বঙ্গাব্দ, ২১ রজব ১৪৪০ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে মসজিদটি আপনারা দেখছেন সেটি ইরানের কোমের বিখ্যাত জামকারান মসজিদ। এটি বহু পুরোনো ও ঐতিহাসিক একটি মসজিদ।
ইরানের ধর্মীয় নগরী কোম হতে ৬ কিলোমিটার দূরে জামকারান গ্রামের কাছে এই মসজিদটি অবস্থিত। অতীতে এই মসজিদটি ‘কাদামগাহ’ মসজিদ নামেই পরিচিত ছিল। পরবর্তীকালে জামকারান গ্রামের নিকটবর্তী হওয়ার কারণে ধীরে ধীরে এর নাম হয়ে ওঠে জামকারান মসজিদ। শিয়া মাজহাবের ১২তম ইমাম, ইমাম মাহদি (আ.)’র সঙ্গে সম্পর্কিত বলে এই মসজিদকে ‘সাহেবুজ্জামান মসজিদ’ও বলা হয়ে থাকে। কোনো কোনো ভবিষ্যদ্বাণীতে বলা হয়েছে যে, ইমাম মাহদি (আ.)’র আবির্ভাবের পর তাঁর শাসনকার্য পরিচালনার অন্যতম কেন্দ্র হবে এই মসজিদটি।
ইরানের প্রখ্যাত সমাজসেবক সাইয়্যেদ মোহাম্মাদ আগাযাদেহ ১৯৫৫ সালে জামকারান মসজিদটি পুনর্নির্মাণ করেন। মসজিদ পুনর্নির্মাণের সময় এটির দক্ষিণের আঙিনায় ৬টি স্তম্ভের উপর ১৭ মিটার লম্বা এবং ৪ মিটার চওড়া একটি হল নির্মাণ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে এটিই ছিল মসজিদের প্রধান ফটক। সেই সময় মসজিদে একটি শিলালিপি সংযুক্ত ছিল যাতে মসজিদটির আগের পুনর্নির্মাণের তারিখ উল্লেখিত রয়েছে। তার পূর্বে মসজিদটি ১৭৫৩ সালে পুনর্নির্মাণ করা হয়। বর্তমানেও এই শিলালিপিটি জামকারান মসজিদে সংরক্ষিত রয়েছে।
এক সময় মসজিদটি ঠিক এমনই ছিল
মসজিদের পূর্বপাশের আঙিনাতেও রয়েছে ১৩ মিটার লম্বা ও ৪ মিটার চওড়া একটি হল। এই হলটির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ৭ রঙের টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে ১৯৫২ সালে মসজিদটির পুনর্নির্মাণকারী সাইয়্যেদ মোহাম্মাদ আগাযাদেহ’র নামও লিপিবদ্ধ রয়েছে।
১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লব বিজয়ের পর এই মসজিদের মুসল্লি ও জিয়ারতকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যহারে বেড়ে যেতে থাকে। যে কারণে এর আয়তন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সে কারণে মসজিদের মূল ভবন সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলে প্রখ্যাত ফকিহ এবং মারজায়ে তাকলিদ আয়াতুল্লাহ মারআশি নাজাফির তত্ত্বাবধানে জামকারান মসজিদের নতুন সীমানা নির্ধারণ করা হয়। মসজিদের চারপাশের কৃষিজমি কিনে মসজিদের সীমানার সঙ্গে অন্তর্গত করা হয়। সব মিলিয়ে ৪০ হেক্টর জমি মসজিদের নামে ওয়াক্ফ করা হয় যার মধ্যে সাড়ে ৫ হেক্টর বরাদ্দ দেওয়া হয় মসজিদের আঙিনা কিংবা খোলা প্রান্তরের জন্য।
তথ্য ও ছবি: http://parstoday.com এর সৌজন্যে।