দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার গাজীপুরের সিটি করপোরেশনেও বিএনপির জয় হয়েছে। আওয়ামীলীগের ঘাটি হিসেবে খ্যাত গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ১৮ দলীয় জোটকে বিজয়ী করার মাধ্যমে বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ডের আরেকবার জবাব দিল জনগণ।
গাজীপুরের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে ১৮ দল সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নান বিজয়ী হয়েছেন। ৩৯২টি কেন্দ্রের সব কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। বেসরকারি ফল হিসাবে এম এ মান্নান টেলিভিশন প্রতীকে পেয়েছেন ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৪৪৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ১৪ দল সমর্থিত আজমত উল্লা খান দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৫৮ হাজার ৮৬৭ ভোট। এম এ মান্নান তার প্রতিদ্বন্দ্বী আজমত উল্লার চেয়ে ১ লাখ ৬ হাজার ৫৭৭ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
মেয়র প্রার্থী বিএনপির অধ্যাপক এমএ মান্নান ও আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের মধ্যে ‘হাড্ডাহাড্ডি লড়াই’ হবে বলে যারা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, তাদের সব হিসাব-নিকাশ অসত্য প্রতিপন্ন করে বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয় সুনিশ্চিত করে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র হচ্ছেন অধ্যাপক এমএ মান্নান। ক্ষমতাসীন দল সর্বশক্তি নিয়োগ করেও বিএনপি প্রার্থীর বিজয় ঠেকাতে পারল না। এত বেশি ভোটের ব্যবধানে দলীয় প্রার্থী হারবেন, তা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কল্পনাও করেননি। চার সিটি নির্বাচনের মতো এ নির্বাচনেও জয়-পরাজয়ের প্রধান নিয়ামক জাতীয় ইস্যু হলেও স্থানীয় নানা ইস্যু ও আওয়ামী লীগের ভোটের লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে নানা দুর্বলতা ছিল বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করে। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মর্যাদার লড়াইয়ে আওয়ামী লীগের পরাজয় আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলের জন্য বড় ধরনের সতর্কসংকেত।
উল্লেখ্য, গতকাল ৬ জুলাই নবগঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ করা হয়। এই নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ১০ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৯, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং এজেন্ট মিলিয়ে প্রায় আট হাজার কর্মকর্তা নির্বাচনের কাজে রয়েছেন। র্যাব-পুলিশ-বিজিবি-আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে ১১ হাজার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।