দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হাজার হাজার বছরের পুরনো কোনো নগরী, মসজিদ কিংবা মন্দির, আপনি দূর থেকেই ঘুরে ঘুরে দেখছেন! তাহলে বিষয়টা আপনার কেমন লাগবে? অদ্ভুত লাগলেও প্রযুক্তির সাহায্যে এটি সম্ভব!
হাজার হাজার বছরের পুরনো কোনো নগরী, মসজিদ কিংবা মন্দির, আপনি দূর থেকেই ঘুরে ঘুরে দেখছেন! তাহলে বিষয়টা আপনার কেমন লাগবে? অদ্ভুত লাগলেও প্রযুক্তির সাহায্যে এটি সম্ভব! সত্যিই বিষয়টি ভাবতেই যেনো গা শিউড়ে ওঠার মতো অবস্থা হয়। প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য মানুষের হাতের নাগালে চলে আসবে তাতে সন্দেহ নেই! সত্যিই ভাবতেও ভালো লাগে।
প্রাচীন ও ঐতিহাসিক স্থাপনা বা নিদর্শন যেনো ডিজিটালি সংরক্ষণ করা যায় সেজন্য বিশ্বজুড়ে কাজ শুরু হয়েছে। যেমন ভারতের হাম্পির ভার্চুয়াল মডেল নির্মাণ করেছেন সেখানকার ইতিহাসবিদরা। ১৫৬৫ সালে ধ্বংস হয়ে যাওয়া এই শহরটির থ্রিডি স্ক্যান করেছে বেশ অনেকগুলো সংগঠন।
মিয়ানমারের হাজার বছরের পুরনো স্থাপনার বাগানেরও থ্রিডি স্ক্যান করা হয়েছে। যেগুলোও ভার্চুয়াল সেট-আপের মধ্যে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
থাইল্যান্ডেও প্রাচীন নগরী আইয়ুথাইয়াতে ৪শ’ বছর আগের রূপ দেখতে পাচ্ছেন পর্যটকরা, যেটি সম্ভব হয়েছে ভিআর অ্যাপের মাধ্যমে।
বাংলাদেশও এর থেকে পিছিয়ে নেই। প্রাচীন স্থাপনা ষাটগম্বুজ মসজিদকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে আনতে কাজ শুরু করেছেন ভিআর ফিল্মমেকার আহমেদ জামান।
প্রত্নতত্ববিদদের সাহায্যে বাংলাদেশের প্রাচীন এই মসজিদটি পুরনো আমলে আসলে কেমন ছিল তার ভার্চুয়াল মডেল নির্মাণ করা হয়েছে।
বর্তমানে এই মসজিদটির ভেতরেও আপনি হাঁটতে পারবেন, আশেপাশের রাস্তা ও পরিবেশও আপনি সুন্দরভাবে দেখতে পাবেন। যার জন্য আপনার দরকার হবে ভিআর ক্যামেরা এবং একটি রিমোট যেটা দিয়ে আপনি যেখানে যেতে চান সেই জায়গাটি সিলেক্ট করে চলে যেতে পারবেন! আপনার সিলেকশান অনুযায়ী ওই মডেলের কোন জায়গায় আপনি রয়েছেন তাও দেখতে পাবেন।
বাংলাদেশে যেসব ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে সেগুলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সেট-আপের মধ্যে আনতেও কাজ করে চলেছেন ভিআর ফিল্মমেকার আহমেদ জামান।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সেট-আপের মধ্যে যদি এগুলো আনা যায় তাহলে হয়তো সময়ের সঙ্গে এসব নিদর্শন হারিয়ে যাবে না। প্রযুক্তির সাহায্যেই এসব নিদর্শন আবারও ঘুরে দেখা যাবে। যেনো মনে হবে এক জীবন্ত কিংবদন্তী চোখের সামনে দাঁড়িয়ে আছে আপনার চোখের সামনে! ইতিহাসকে চেনা-জানাও আরও সহজতর হবে।